অপারেটর বদলেছেন ৭ লাখ গ্রাহক, বেশি গেছেন রবিতে

দেশে গত এক বছরে নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলে বা এমএনপি (মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি) সেবা নিয়েছেন ৬ লাখ ৯০ হাজার ৫৫০ জন মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী। এর মধ্যে ৪ লাখ ৯৬ হাজার জন অন্য অপারেটর থেকে রবির গ্রাহক হয়েছেন, যা মোট বদলকারী গ্রাহকের প্রায় ৭২ শতাংশ।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এমএনপি সেবা চালুর এক বছরের হিসাব আজ সোমবার প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, মোট সাড়ে ৯ লাখ গ্রাহক অপারেটর বদলের সেবা নিতে চেয়েছেন। যদিও আড়াই লাখের মতো গ্রাহক নানা কারণে সফল হননি। ব্যর্থ হওয়া গ্রাহকেরও ৬৬ শতাংশ অন্য গ্রাহক থেকে রবিতে যেতে চেয়েছিলেন।

বিটিআরসি ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সেবা চালু করে। এর উদ্দেশ্য ছিল বাজারে প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা। যাতে গ্রাহকেরা তাঁর নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল করতে পারেন।

আলোচ্য সময়ে গ্রামীণফোনে এমএনপির মাধ্যমে ১ লাখ ২১ হাজার ৫৭৯ জন গ্রাহক পেয়েছে। গ্রামীণফোনে যেতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছেন ৫৮ হাজার ৭৩৯ জন। বাংলালিংক পেয়েছে ৬৮ হাজার ৫২৮ জন গ্রাহক। সেখানে যেতে চেয়েও পারেননি ২৮ হাজার ১৯০ জন। এমএনপির মাধ্যমে টেলিটক ৪ হাজার ৪২৭ জন গ্রাহক পেয়েছে। টেলিটকে যেতে চাইলেও পারেননি ১ হাজার ১৩৯ জন গ্রাহক।

এমএনপি ব্যবহার করে গ্রামীণফোন ছেড়েছেন প্রায় ২ লাখ ৭৪ হাজার গ্রাহক। একইভাবে রবি ছেড়েছেন ১ লাখ ১৯ হাজার, বাংলালিংক ছেড়েছেন ২ লাখ ৮৯ হাজার ও টেলিটক ছেড়েছেন ৮ হাজারের বেশি গ্রাহক।

গণ্যমাধ্যমকে দেওয়া এক বক্তব্যে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম বলেন, ‘এমএনপি নিয়ে বিটিআরসির প্রকাশিত প্রতিবেদন প্রমাণ করে, রবি এখন দেশের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত ডিজিটাল ব্র্যান্ড। যদিও নানা কারিগরি জটিলতায় এমএনপির মাধ্যমে রবি নেটওয়ার্কে আসতে ইচ্ছুক ৫০ শতাংশের বেশি গ্রাহকের আবেদন গত এক বছরে সফল হয়নি। বিশেষ করে করপোরেট গ্রাহকেরা এমএনপির মাধ্যমে অপারেটর পরিবর্তনে অনেক ক্ষেত্রেই হয়রানিতে পড়ছেন।’

সাহেদ আলম বলেন, ‘যেসব কারণে গ্রাহকেরা এমএনপি সেবা নিতে পারছেন না, সেগুলো দূর করতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও এমএনপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান একটু সচেষ্ট হলে এমএনপি সেবা আরও সফল হবে বলে আমরা মনে করি।’