ব্যবসার জন্য নারীদের পুঁজি ও তথ্য দেবে জয়যাত্রা

রাজধানীর একটি হোটেলে ইউনিলিভারের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: দীপু মালাকার
রাজধানীর একটি হোটেলে ইউনিলিভারের পক্ষ থেকে আয়োজিত অনুষ্ঠান। ছবি: দীপু মালাকার

গ্রামীণ নারীদের ব্যবসার বিনিয়োগে পুঁজি ও তথ্যের সন্ধান দেবে ‘হুইল জয়যাত্রা’। তারা মনে করে, দেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে হলে নারীর যোগ্যতা ও সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হবে। সেই কাজটি করার জন্য ইউনিলিভারের হুইল ডিটারজেন্ট ব্র্যান্ড ‘হুইল জয়যাত্রা’ নামের ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ইউনিলিভারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানানো হয়। তারা জানায়, জয়যাত্রায় রয়েছে নাটিকা ও টিভি বিজ্ঞাপন। এই প্রচারাভিযানকে প্রত্যন্ত গ্রামে নিয়ে যাবে ইউনাইটেড পারপাস নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

জয়যাত্রা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলায়। সেখানে তারা নারী ও পুরুষকে মিলিতভাবে কাজ করার ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে নারীদের জন্য আছে উঠান বৈঠক এবং পুরুষের জন্য হাট আলোচনা। এর অংশ হিসেবে ২৪, ২৫ ও ২৬ অক্টোবর সরিষাবাড়ী উপজেলায় তিন দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এই মেলায় নারীরা তাঁদের পণ্য নিয়ে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। মেলায় অংশগ্রহণের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে তাঁরা ভবিষ্যতে আরও ভালো কিছু করতে পারবেন।

জানানো হয়, ব্যবসায়ে নারীদের উৎসাহিত করতে এই মেলার সেরা তিন ব্যবসায়ীকে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কারের এই অঙ্ক যথাক্রমে ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ হাজার টাকা। বিজয়ীরা এই টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে তাঁদের ব্যবসাকে আরও প্রসারিত করতে পারবেন। এ ছাড়া বিজয়ী তিন দম্পতির ছবি হুইলের প্যাকেটে ব্যবহার করা হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এককভাবে কারও পক্ষে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব নয়। উন্নয়নকাজে সবাইকে মিলিতভাবে অংশ নিতে হবে। সবার মিলিত অংশগ্রহণের মাধ্যমে এমডিজি (জাতিসংঘ ঘোষিত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জিত হয়েছে। এসডিজি (জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জনেও সবাইকে একইভাবে কাজ করতে হবে। জয়যাত্রা সেই কাজটিই শুরু করেছে। সুতরাং অন্যদেরও এগিয়ে আসতে হবে।

মোকাম্মেল হোসেন বলেন, সরিষাবাড়ীর নারীদের মতো সারা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের নারীদেরও এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেই মূল দায়িত্ব নিতে হবে। সরকার তাদের সব ধরনের সহযোগিতা দেবে।

ইউনাইটেড পারপাসের আবাসিক পরিচালক রামাপ্পা গনচিকারা বলেন, নারীদের যোগ্যতা ও সক্ষমতাকে কাজে লাগাতে হলে তাঁদের আইটি বিষয়ে ও কম্পিউটার চালানোর বিষয়ে দক্ষ করে তুলতে হবে। আমদানি-রপ্তানি, উৎপাদন, বিপণন ইত্যাদি বিষয়ে তাঁদের ধারণা দিতে হবে। আর এটা করতে পারলেই নারীর সক্ষমতাকে কাজে লাগানো সম্ভব হবে।

ইউনিলিভারের মার্কেটিং ডিরেক্টর তানজিম ফেরদৌস বলেন, বাংলাদেশের নারীরা কর্মে পারদর্শী হলেও সামাজিক সীমাবদ্ধতা ও তথ্যের অভাবে তাঁরা পুঁজি সংগ্রহ বা আয়ের পথ খুঁজে নিতে পারছেন না। জয়যাত্রা নারীদের এ বিষয়ে সহযোগিতা করবে।