দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, একনেকে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ অক্টোবর, ২০১৯। ছবি: ফোকাস বাংলা
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ অক্টোবর, ২০১৯। ছবি: ফোকাস বাংলা

দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোন জেলায় এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হবে, তা ঠিক হয়নি।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এই তথ্য দেন। একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি বলেছেন। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর মাথায় এই প্রকল্পের বিষয়টি ঘুরছে। যেহেতু তাঁর মাথায় এটা আছে, প্রকল্প হবে।’

প্রধানমন্ত্রী মহাসড়কে টোল আদায় করার বিষয়টি আবারও মনে করিয়ে দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এম এ মান্নান। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘রেডি হন, মহাসড়কে টোল আদায় করা হবে। চার লেন, আট লেনের সড়ক হবে, টোল দিতে হবে। এসব মহাসড়ক টোলবিহীন হবে না।’ পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ফেল কড়ি, মাখো তেল। প্রতিটি সেবায় মাশুল দিতে হবে।’

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, ২০২১ সালের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি দেশে আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হবে।

আজকের একনেক সভায় সব মিলিয়ে ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকার দশটি প্রকল্প পাস হয়েছে। এর মধ্যে দেশজ উৎস থেকে দেওয়া হবে ৮ হাজার ২৭১ কোটি টাকা। বিদেশি ঋণ সহায়তা আছে ২ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। এ ছাড়া বিদেশি অনুদান হিসেবে পাওয়া যাবে ২৬৭ কোটি টাকা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো ৭৩০ কোটি টাকার কিশোরগঞ্জ (বিন্নাটি) পাকুন্দিয়া-মির্জাপুর-টোক জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মানে উন্নীত করা, ৩৮৯ কোটি টাকার ঢাকা-আরিচা-মহাসড়কের আমিনবাজার, সালেহপুর ও নয়ারহাট নামক স্থানে ৩টি সেতু নির্মাণ; ৩ হাজার ৭১২ কোটি টাকার স্কিলস ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম; ১ হাজার ৭১২ কোটি টাকার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক নিরাপত্তা তদারকি করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের নিউক্লিয়ার রেগুলেটরি ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়ন, ১ হাজার ৭৬২ কোটি টাকার জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্প; ২৫০ কোটি টাকার ভূ-উপরিস্থ পানির সর্বোত্তম ব্যবহার ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বৃহত্তর রংপুর জেলায় সেচ সম্প্রসারণ; ১ হাজার ৭২৩ কোটি টাকার পল্লি কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচি প্রকল্প-৩; ৫৫৭ কোটি টাকার শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার পদ্মা শাখা নদীর ডান তীরের ভাঙন থেকে নওয়াপাড়া এলাকা এবং পদ্মা নদীর বাঁ তীরের ভাঙন থেকে চরআত্রা এলাকা রক্ষা এবং ৬৩৩ কোটি টাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের পানি শোধনাগার ও গভীর নলকূপ স্থাপন প্রকল্প।

এ ছাড়া আজকের একনেকে খরচ অপরিবর্তিত রেখে একটি প্রকল্পে শুধু মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রকল্পটি হলো বাংলাদেশে চারটি মেরিন একাডেমি স্থাপন (পাবনা, বরিশাল, সিলেট ও রংপুর) প্রকল্প।