আজিয়াটার হিরো গেমিং প্রতিযোগিতার জয়ী তিন দল যাবে মালয়েশিয়া

রবি ও এয়ারটেলের আয়োজনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক অনলাইন গেমিং প্রতিযোগিতা ‘আজিয়াটা গেম হিরো’। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
রবি ও এয়ারটেলের আয়োজনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক অনলাইন গেমিং প্রতিযোগিতা ‘আজিয়াটা গেম হিরো’। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

রবি আজিয়াটা লিমিটেডের দুই ব্র্যান্ড রবি ও এয়ারটেলের আয়োজনে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আন্তর্জাতিক অনলাইন গেমিং প্রতিযোগিতা ‘আজিয়াটা গেম হিরো’। প্রতি দলে ৪ জন করে ১২ দলের ৪৮ জন প্রতিযোগী বাংলাদেশ পর্বের চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারী ৬টি দল প্রায় ৬ লাখ টাকার পুরস্কার জিতেছে।

আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিতব্য গ্র্যান্ড ফিনালে প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে বাংলাদেশের বিজয়ী তিনটি দল। প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ১ লাখ ৮৫ টাকা মূল্যের পুরস্কার। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী দল যথাক্রমে পেয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের পুরস্কার।

প্রতিযোগিতার বাংলাদেশ অংশের চূড়ান্ত পর্ব আজ মঙ্গলবার রাজধানীর অভিজাত লা মেরিডিয়ান হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন রবির ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ। এ সময় রবির চিফ কমার্শিয়াল অফিসার প্রদীপ শ্রীবাস্তবসহ রবি এবং এর মূল কোম্পানি আজিয়াটার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের মোট দুই লাখ গেমার এ প্রতিযোগিতায় নিবন্ধন করেছিলেন। আয়োজনের প্রথম পর্বে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত ৪৮ জনকে নিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য ১২টি দল গঠন করা হয়। জনপ্রিয় গেম ‘ফ্রি ফায়ার’ নিয়ে আয়োজন করা হয় এই ‘গেম হিরো’ প্রতিযোগিতাটি।

বাংলাদেশ থেকে শীর্ষ তিন দল ছাড়াও কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার প্রতিযোগীরাও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন। এর আগে বাংলাদেশের রবি আজিয়াটা লিমিটেডের মতো ওই দেশগুলোতেও আজিয়াটা পরিচালিত অন্য কোম্পানিগুলো নিজ নিজ দেশে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্তর্জাতিক মানের এ গেমিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের চলমান ধারার সঙ্গে একাত্ম হতে পেরেছে। গেমিংয়ের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা সম্পর্কে তিনি বলেন, একসময় সময়ের অপচয় বলে মনে হলেও এখন শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক উভয়ের জন্য মানসিক বিকাশ, হাত ও চোখের সমন্বিত কার্যক্রমের বিকাশ, দ্রুত সিদ্ধান্ত দিতে মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করতে গেমিংকে একটি কার্যকর মাধ্যম বলে বিবেচনা করা হয়। মাত্রাতিরিক্ত যেকোনো কিছুরই নেতিবাচক দিক থাকে; তবে এখন বিশ্বজুড়েই গেমিংয়ের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।