পেঁয়াজের প্রথম চালান ঢাকায় পৌঁছাবে মঙ্গলবার

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মিসর থেকে কার্গো বিমানযোগে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান ঢাকায় পৌঁছাবে মঙ্গলবার। এস আলম গ্রুপ বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করছে, এটি এর প্রথম চালান। আজ শনিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবদুল লতিফ বকসী এ কথা জানিয়েছেন।

পর্যায়ক্রমে অন্য আমদানিকারকদের আমদানি করা পেঁয়াজ কার্গো উড়োজাহাজে ঢাকায় পৌঁছাবে।

দ্বিশতক হাঁকিয়েও অপরাজিত রয়েছে পেঁয়াজ। গতকাল শুক্রবার থেকে ঢাকার বাজারে প্রায় সব ধরনের পেঁয়াজ ২০০ টাকার ওপর কেজি বিক্রি হচ্ছে। ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের দাম ২২০ টাকা ছাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক রাখতে কার্গো উড়োজাহাজে করে পেঁয়াজ আমদানি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তুরস্ক থেকে, এস আলম গ্রুপ মিসর থেকে এবং আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জরুরি ভিত্তিতে কার্গো উড়োজাহাজের মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি করছে। এ–সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কম দাম ও সহজ পরিবহনের কারণে ভারত থেকে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। ভারতের মহারাষ্ট্র ও অন্য এলাকায় বন্যার কারণে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে কিছুদিন আগে রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস (এমইপি) নির্ধারণ করে দেয়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত কর্তৃপক্ষ পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ঘোষণা করে। বিকল্প হিসেবে বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে এলসি এবং বর্ডার ট্রেডের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছে। মিসর ও তুরস্ক থেকেও এলসির মাধ্যমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা হয়। সম্প্রতি মিয়ানমারও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে। এতে বাংলাদেশের বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।

আমদানিকারকদের উৎসাহিত করতে পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রে এলসি মার্জিন এবং সুদের হার হ্রাস করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। স্থল ও নৌবন্দরগুলোতে আমদানি করা পেঁয়াজ দ্রুত ও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে খালাসের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিয়েছে।