'পেঁয়াজ আমদানিকারকদের ভয় দেখাতে ডাকা হয়নি'

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হন ১০ আমদানিকারক। ছবি: প্রথম আলো
শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরে হাজির হন ১০ আমদানিকারক। ছবি: প্রথম আলো

শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) সহিদুল ইসলাম বলেছেন, ভয় দেখানোর জন্য নয়, আমদানি ও বিক্রির তথ্য জানার জন্যই পেঁয়াজ আমদানিকারকদের ডাকা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে ওই সব আমদানিকারকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে এ বিষয়ে কথা বলেন অধিদপ্তরের ডিজি।

মহাপরিচালক বলেন, আমদানিকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে চাইছি সরবরাহ ব্যবস্থার কোথায় মজুতধারী হচ্ছে। পেঁয়াজের বাজার মূল্য সহনীয় রাখতে সরকারকে সহায়তা করতেই মজুতের পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে। কোথাও পেঁয়াজের মজুত থাকলে তা যেন ছেড়ে দেওয়া হয়-এটাই শুল্ক গোয়েন্দাদের উদ্দেশ্য।

পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে ১০ জন আমদানিকারককে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে শুল্ক গোয়েন্দারা। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, সাতক্ষীরার ওই আমদানিকারকদের নিজেদের কার্যালয়ে ডেকে এনে বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির জন্য আমদানি করা পেঁয়াজ অবৈধভাবে মজুত করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগও আনা হয়েছে।

আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিএইচ ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি, টি এম এন্টারপ্রাইজ, আর এম অ্যাগ্রো, নুর এন্টারপ্রাইজ, সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ, একতা এন্টারপ্রাইজ, বিশাল এন্টারপ্রাইজ, রাজশাহীর ফুল মোহাম্মদ ট্রেডার্স, বগুড়ার সুমাইয়া এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার দীপা এন্টারপ্রাইজ।

বিশাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবদুল আউয়াল বলেন, আমরা মজুত করি না। পেঁয়াজবাহী ট্রাক সীমান্তের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকার ব্যবসায়ীরা তা কিনে নেন। ভারতীয় ট্রাক থেকে সরাসরি ঢাকার ব্যবসায়ীদের ট্রাকে ওঠে যায়। আমরা প্রতি কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ পয়সা মুনাফা পাই।

আজ মঙ্গলবার দেশের নানা প্রান্তের আরও ৩৩ জন পেঁয়াজ আমদানিকারককে ডেকে পাঠিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তর। এসব প্রতিষ্ঠান গত সাড়ে তিন মাসে কমপক্ষে এক হাজার টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেছে।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক শামীমা আক্তারের নেতৃত্বে শুল্ক গোয়েন্দাদের একটি দল আলাদা আলাদা প্রত্যেক আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ করে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেক আমদানিকারকের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, পেঁয়াজের আমদানিমূল্য কত, কি পরিমাণ পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়েছে, ক্রেতাদের নাম ও ঠিকানা, বিক্রি মূল্য কত, আমদানিকারকের হাতে অবশিষ্ট মজুতের পরিমাণ।