দোকান কর্মচারীরা সপ্তাহে দেড় দিন ছুটি চান

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে। ছবি: ফেডারেশনের সৌজন্যে
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে। ছবি: ফেডারেশনের সৌজন্যে

দোকান কর্মচারীরা সপ্তাহে দেড় দিন ছুটিসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন। তাদের অন্যান্য দাবির মধ্যে নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র প্রদান, হাজিরা খাতা ও সার্ভিস বুক চালু, বছরে দুইটি উৎসব ভাতা, ৫ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধ, মজুরি বোর্ড গঠন, সার্ভিস বেনিফিট, দৈনিক ৮ ঘণ্টার অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম, কর্মক্ষেত্রে আহত ও নিহত হলে ক্ষতিপূরণ প্রদান উল্লেখযোগ্য।

রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির মিলনায়তনে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছে জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যায়ে দোকান কর্মচারী আছেন। সারা দেশে দোকান, শপিংমল, চেইনশপ, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, রিটেইল শপ, পাইকারি, ইলেকট্রিক্যাল দোকান, সেলুন, বিউটি পারলার এবং ওষুধের দোকানে প্রায় ৬০ লাখ দোকান কর্মচারী কর্মরত আছেন।

আমিরুল হক আমিন বলেন, আইন অনুসারে সরকারি কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন, বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের ছুটি ১ দিন এবং দোকান কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি দেড় দিন। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয়, দোকান কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটি দেড় দিন তো দূরের কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ১ দিনও ছুটি দেওয়া হয় না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় নেতা হজরত আলী মোল্লা, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল গনি মিয়া, আবদুল খালেক, কামরুল হাসান, নাসিমা আক্তার, ইসরাত জাহান প্রমুখ।