ন্যাশনাল এফ-কমার্স সামিট অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর

ন্যাশনাল এফ–কমার্স সামিট তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ২৮ ডিসেম্বর। দিনব্যাপী এ আয়োজনে প্রোডাক্ট এক্সিবিশন এবং নলেজ সেশনে মিলে ২০০০ দর্শনার্থী এবং ১০০০ উদ্যোক্তার মিলনমেলা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, এটুআই-আইসিটি ডিভিশন, বেসিস সঙ্গে নিয়ে স্পেশালাইজড ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি গীকি সোশ্যাল লিমিটেড রাজধানীর কেআইবি কমপ্লেক্সে এ আয়োজন করতে যাচ্ছে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় তিন লাখ এফ-কমার্স উদ্যোক্তা রয়েছেন এবং এর ৫০ শতাংশের বেশি নারী উদ্যোক্তা। এফ-কমার্স শিল্পের ক্রমবর্ধমান মানোন্নয়ন, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে এফ-কমার্স সামিটে রাখা হয়েছে ৪টি নলেজ সেশন। ইউটিউবারদের মতো কীভাবে ফেসবুকে ভিডিও শেয়ার করে আর্নিং করা যায়, এ ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য রয়েছে একটি সেশন। কন্টেন্ট ক্রিয়েটর এবং মেসেঞ্জার বট নিয়েও রয়েছে আলাদা আলাদা সেশন। ফেসবুক উদ্যোক্তাদের বিক্রয় বৃদ্ধির কৌশলবিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ নলেজ সেশন রয়েছে।

ন্যাশনাল এফ-কমার্স প্রোগ্রামের মাধ্যমে এই শিল্পকে উৎসাহিত করতে ৫ জন এফ-কমার্স উদ্যোক্তা এবং ৫ জন এই শিল্পের পৃষ্ঠপোষককে পুরস্কৃত করা হবে।

অনুষ্ঠানের প্রধান আর্থিক পৃষ্ঠপোষক এসএমই ভাই–এর চিফ অপারেশন অফিসার সদরূল হাসান বলেন, বেকার সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থানের পরিবর্তনের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের তরুণের এফ-কমার্সের কাজ করছে। এফ-কমার্সের বাজার সৃষ্টি ও সেটির মান উন্নতকরণের মাধ্যমে কারিগরি দক্ষতা বাড়িয়ে নতুন বিক্রয় বৃদ্ধির জন্য এসএমই ভাই সব সময় উদ্যোক্তাদের পাশে রয়েছে।

আয়োজক প্রতিষ্ঠান গীকি সোশ্যাল লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান সাগর বলেন, ‘আমি লক্ষ করেছি আজকের তারুণ্য বেশ বড় একটা সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে কাটায় এবং সেটি নিছক বিনোদন ছাড়া আর কিছু দেয় না। সেই জায়গা থেকে আমি তারুণ্যের সামনে তুলে ধরতে চাই কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ক্যারিয়ার গড়া যায়, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ গড়ে তোলা যায়। সেই লক্ষ্যে তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করতে যাচ্ছি ন্যাশনাল এফ-কমার্স সামিট ২০১৯।