আমি তো পুরস্কৃত হইনি, হয়েছে পুরো জাতি: অর্থমন্ত্রী

আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি
আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি

যুক্তরাজ্যভিত্তিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস গ্রুপের মাসিক ম্যাগাজিন দ্য ব্যাংকারের ‘ফাইন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ইয়ার ফর এশিয়া-প্যাসিফিক অ্যান্ড গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ হয়েছেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি এ স্বীকৃতিকে পুরো জাতির অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমি পুরস্কৃত হয়েছি। আসলে আমি তো পুরস্কৃত হইনি, পুরস্কৃত হয়েছে পুরো জাতি, প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের সকল মানুষ, এটা সবার পুরস্কার। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে উন্নয়ন হয়েছে, সেসব বিবেচনায় এ পুরস্কার।’

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।

২ জানুয়ারি বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রীকে গ্লোবাল ফিন্যান্স মিনিস্টার অব দ্য ওয়ার্ল্ডে ভূষিত করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক অর্থনৈতিক পত্রিকা দ্য ব্যাংকার। সারা বিশ্বের অর্থমন্ত্রীদের আর্থিক খাতে গতিশীলতা আনয়নসহ দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে গৃহীত পদক্ষেপ বিবেচনা করে এ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘পত্রিকাটি আমাদের সক্ষমতার জায়গাগুলো উল্লেখ করেছে। পাশাপাশি আমরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছি বা ভবিষ্যতে যেসব চ্যালেঞ্জ আসবে, সেগুলো কীভাবে মোকাবিলা করব, সে বিষয়ে তারা আমার মতামত জানতে চেয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বলছে, ২০২৫ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াকে অতিক্রম করে এগিয়ে যাব। এই যে আমাদের সক্ষমতার জায়গাগুলোর কথা বলা হচ্ছে, এর কারণ হচ্ছে আমরা নীতি ও পরিকল্পনায় দৃঢ়ভাবে এগোচ্ছি। একটি শক্ত জায়গা থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

সারা বিশ্বে গত এক বছর কোনো দেশের আমদানি-রপ্তানি কোনোটাই বাড়েনি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘গত ছয় মাসে আমাদের ৫ শতাংশের মতো রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কম। তবে সরা বিশ্বে যেভাবে কমেছে, সেটার সঙ্গে তুলনা করলে আমাদের রপ্তানি হ্রাসের পরিমাণটা খুবই কম।’

অর্থমন্ত্রীর মতে, যেসব সম্পদ এখনো ব্যবহার করতে পারিনি, সেগুলো ব্যবহার করতে পারলে আমাদের প্রবৃদ্ধি আরও ভালো ও সবার জন্য আকর্ষণীয় হবে। যেটাকে আমরা বলি অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি।’ তিনি বলেন, প্রবৃদ্ধিকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার জন্য আগামী পাঁচ বছর প্রান্তিক পরিবারগুলোকে অর্থনৈতিক কার্যক্রমে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর ফলে দেশ বৈষম্যহীন একটি সুষম পরিবেশের দিকে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।