এসডিজি অর্জনে ২২ কোটি টাকা অনুদান দেবে ইউনিলিভার

এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের আট প্রতিষ্ঠানকে ২২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে ইউনিলিভার। ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সাজিদ হোসেন
এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের আট প্রতিষ্ঠানকে ২২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে ইউনিলিভার। ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সাজিদ হোসেন

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশের আট প্রতিষ্ঠানকে ২২ কোটি টাকা অনুদান দিচ্ছে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার। ইউনিলিভারের ডিএফআইডি ও আরন্সটন অ্যান্ড ইয়াং যৌথ উদ্যোগে অভিনব সামাজিক ব্যবসাগুলোকে এ অনুদান দেবে।

আজ বুধবার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে এসব সামাজিক ব্যবসার উদ্যোক্তারা তাঁদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি–বিষয়ক অতিরিক্ত সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়া ও সাব সাহারা অঞ্চলের সামাজিক কল্যাণে ব্যবসার নতুন মডেল সম্প্রসারণে ৫০টিরও বেশি প্রকল্পে ৪০০ কোটি টাকা সহায়তা দিচ্ছে ইউনিলিভার। এর মধ্যে বাংলাদেশের আটটি প্রতিষ্ঠান পাচ্ছে ২২ কোটি টাকা। বাংলাদেশে বিশুদ্ধ পানি, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, স্যানিটেশনের মতো উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত হয়েছে ইউনিলিভারের ট্রান্সফর্ম। যারা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর চাহিদা পূরণে টেকসই ও উদ্ভাবনী কাজে এ অনুদান ব্যবহার করবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, এসডিজি অর্জনে ইউনিলিভারের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এসডিজি অর্জনের যে অর্থায়ন প্রয়োজন, তাতে ঘাটতি আছে। এ জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

অনুষ্ঠানে ইউনিলিভারের সাসটেইনেবল বিহেভিয়র চেঞ্জ প্রকল্পের বৈশ্বিক পরিচালক রিচার্ড রাইট, ডিএফআইডি কৌশলগত অংশীদার ও ইনোভেশন ব্যবস্থাপক ক্রিস এডওয়ার্ড, ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কেদার লেলেসহ প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ইউনিলিভার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কেদার লেলে বলেন, ‘অনেক মনে করেন, ইউনিলিভার শুধু বড়দের নিয়ে কাজ করেন। আমরা সবাইকে নিয়ে কাজ করি। বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যা ধরিয়ে দেওয়া নয়, সমাধানের জন্য কাজ করছে।’

অনুদান পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘জিয়ন’ একটি মোবাইল অ্যাপস, যার মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ের ফার্মেসিগুলো তাদের গ্রাহকদের ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছে। পাশাপাশি ফার্মেসি মালিকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। আবার নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কাজ করছে অ্যাপস ‘মায়া’। যার মাধ্যমে চিকিৎসক ও রোগীদের মধ্যে মেলবন্ধন গড়ে উঠেছে। আর গণশৌচাগার নির্মাণ করছে ‘ভূমিজ’।

অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ‘সবার জন্য পানি’ একটি সামাজিক সংগঠন, যারা ভাষানটেক বস্তিতে কাজ করে। নতুন অনুদানের ফলে তারা এখন স্যানিটেশন নিয়ে কাজ করবে। ‘সুইপ’ একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সেবা, যারা চট্টগ্রামের কম আয়ের মানুষদের নিয়ে কাজ করছে। ‘ড্রিংকওয়েল’ পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় পানিস্বল্পতা নিয়ে কাজ করছে। আর ‘ফোলিয়া ওয়াটার’ চালু করেছে এটিএম পানি খাওয়ার যন্ত্র। এতে কম খরচে পানি খাওয়ার সুযোগ মিলছে।