করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি কমতে পারে: আইএমএফ-প্রধান

আইএমএফ-প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। ছবি: রয়টার্স
আইএমএফ-প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। ছবি: রয়টার্স

চলতি বছর করোনভাইরাস মহামারির কারণে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আইএমএফ–প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। গতকাল রোববার দুবাইয়ে গ্লোবাল উইমেন্স ফোরামে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির হার কিছুটা কমাতে হতে পারে, তবে আমরা এখনো আশা করছি, এটি ০, ১-০ অথবা ২ শতাংশের মধ্যে থাকবে।’ বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বলেন, ‘ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের প্রভাব অর্থনীতিতে কতটা পড়বে, তা নির্ভর করছে কত দ্রুত এটি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে তার ওপর। ইতিমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ১ হাজার ৬০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আমি সবাইকে পরামর্শ দেব খুব দ্রুতই কোনো উপসংহারে না যেতে। এখনো অনেক অনিশ্চয়তা আছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছি, কী হবে তা নিয়ে নয়।’

চলতি বছর ৩ দশমিক ৩ শতাংশ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে বলে জানুয়ারিতে পূর্বাভাস দেয় আইএমএফ, যা গত অক্টোবরে দেওয়া ৩ দশমিক ৪ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে কম। এ ছাড়া রপ্তানি ও বিনিয়োগের ওপর বাণিজ্যযুদ্ধগুলোর প্রভাবের মধ্যে গত বছর বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৯ শতাংশ হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি, যা বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের পর সবচেয়ে মন্থর বৃদ্ধি।

জর্জিয়েভা বলেন, মহামারিটির পুরো প্রভাব এখনই মূল্যায়ন করা ‘খুব তাড়াতাড়ি’ হয়ে যাবে। তবে এটি ইতিমধ্যে পর্যটন এবং পরিবহনের মতো খাতে প্রভাব ফেলেছে। তিনি বলেন, এখনই এর বিষয়ে কিছু বলা ঠিক হবে না, কারণ আমরা এখনো এই ভাইরাসটির প্রকৃতি কী, তা পুরোপুরি জানি না। আমরা জানি না, চীন কত তাড়াতাড়ি এটি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবে। আমরা জানি না, এটি পৃথিবীর অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়বে কি না।’

২০০২ সালে সরিয়ে পড়া সার্স মহামারির চেয়েও করোনাভাইরাসের প্রভাব বেশি পড়বে বলে মনে করেন আইএমএফ–প্রধান। কারণ তিনি বলেন, ওই সময় বিশ্ব অর্থনীতিতে চীনের অংশ ছিল মাত্র ৮ শতাংশ। এখন তা ১৯ শতাংশে পৌঁছেছে।

তবে এত কিছুর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যচুক্তি আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।