গ্রামীণফোনের শেয়ারের দর কমেছে

শেয়ারবাজার
শেয়ারবাজার

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের পর বাকি এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধে তিন মাস সময় পেয়েছে গ্রামীণফোন। এ সংবাদের পর আজ সোমবার পুঁজিবাজারে টেলিকম খাতের এ কোম্পানির শেয়ারের দাম গতকালের চেয়ে কমে গেছে। বেলা ১১টার দিকে শেয়ারটি লেনদেন হচ্ছে ৩০৮ টাকায়। গতকাল রোববার দিন শেষে গ্রামীণফোনের শেয়ারের দাম ৩১৯ টাকা ৬০ পয়সায় ওঠে।

প্রথম আধা ঘণ্টায় দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন হচ্ছে। বেলা ১১টা নাগাদ সূচকটি ২১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৪৬৭৭ পয়েন্টে।

আদালতের নির্দেশ মেনে দুই হাজার কোটি টাকার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গতকাল বিটিআরসিকে দেয় গ্রামীণফোন। এই তথ্য জানিয়ে বাকি অর্থ দিতে গ্রামীণফোনের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আজ তিন মাস সময় দেন আপিল বিভাগ।

গত বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে আজই গ্রামীণফোনের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। এরপরই গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবে।

গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে গতকাল চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিটিআরসিতে গিয়ে এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার কমিশনের চেয়ারম্যান জহুরুল হকের কাছে হস্তান্তর করে।

গত বছরের ২৪ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে দুই হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।

জানা গেছে, গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি পাওনা বাবদ ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গ্রামীণফোনের ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নিরীক্ষা করে এই পাওনা নির্ধারণ করা হয়। পাওনার মধ্যে রয়েছে রাজস্বের ভাগাভাগি, কর ও অন্যান্য খাত। তবে প্রথম থেকেই গ্রামীণফোন এই দাবি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল।

পাওনা আদায় ও বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গত অক্টোবরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সমঝোতার উদ্যোগ নিলেও তা ব্যর্থ হয়। ওই বৈঠকে তখন কয়েকটি প্রস্তাব পেশ করা হয়। এগুলো হচ্ছে দুই পক্ষ একটি কমিটি গঠন করে পাওনা পরীক্ষা অথবা পরীক্ষার পদ্ধতি বের করা, বিটিআরসির লাইসেন্স বাতিলের কারণ দর্শানোর নোটিশ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা, অপারেটরদের মামলা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ নেওয়া, কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে রাখা ইত্যাদি। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ মানল গ্রামীণফোন।