জিপির বিষয়ে সন্তোষজনক সমাধান চায় নরওয়ে

গ্রামীণফোনের বকেয়া পাওনা পরিশোধের বিষয়টি বাংলাদেশের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সন্তোষজনকভাবে সুরাহা করতে চায় নরওয়ে।

তবে দেশের শীর্ষ মুঠোফোন প্রতিষ্ঠানটির মালিকানার অংশীদার নরওয়ের পক্ষ থেকে পাওনা পরিশোধ নিয়ে যে উদ্বেগ রয়েছে, তা বাংলাদেশকে জানিয়েছে দেশটি।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বাংলাদেশের এবং নরওয়ের পররাষ্ট্রসচিব তোরে হাটরেম তাঁর দেশের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠক শেষে গ্রামীণফোনের বকেয়া পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে নরওয়ের পররাষ্ট্রসচিব তোরে হাটরেম বলেন, ‘গ্রামীণফোনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সন্তোষজনক উপায়ে পাওনা সমস্যার সমাধান চায় নরওয়ে। বিষয়টি এখন আদালতে রয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের কিছু উদ্বেগ রয়েছে, সেটা আমরা আলোচনায় তুলে ধরেছি।’

টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা নিরীক্ষা দাবি করে গ্রামীণফোনের কাছে। গ্রামীণফোন বিটিআরসির এ দাবির সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে। টাকা আদায়ে গ্রামীণফোনের সরঞ্জাম আমদানির সনদ প্রদান বন্ধসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেয় বিটিআরসি। পরে গ্রামীণফোন বিটিআরসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের শরণাপন্ন হয়। সবশেষে আপিল বিভাগ গ্রামীণফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা বিটিআরসিতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

গতকাল বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আদালতের নির্দেশে গ্রামীণফোন এক হাজার কোটি টাকা জমা দিয়েছে। তিন মাসের মধ্যে আরও এক হাজার কোটি টাকা দেবে। এরপর কী হবে, সেটি নিয়ে আলোচনা করেছি।’ তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কাছে আদালতের রায়ের পূর্ণাঙ্গ নথি চেয়েছে নরওয়ে। তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামীণফোনে নরওয়েজীয় কোম্পানির শেয়ার আছে। তাই আমরা সমাধান চাই। এটার সমাধান হলে দুই দেশের জন্যই ভালো হবে। আর এতে নরওয়ে থেকে আরও বিনিয়োগ আসবে।’