এনজিও ঋণে ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি পরিশোধে শিথিলতা

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান বা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে যাঁরা কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন না, আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত তাঁদের খেলাপি গ্রাহক হিসেবে বিবেচনা করা যাবে না। ক্ষুদ্রঋণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এমআরএ) থেকে সনদপ্রাপ্ত দেশের সব ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই নির্দেশ প্রযোজ্য।

এ নিয়ে গতকাল রোববার এমআরএ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সম্বোধন করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ববাণিজ্যের পাশাপাশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যেও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দেশের সার্বিক অর্থনীতির এ নেতিবাচক প্রভাবের ফলে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের ঋণগ্রহীতাদের ব্যবসা-বাণিজ্য তথা স্বাভাবিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডও বাধাগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এমআরএ বিধিমালা, ২০১০–এর বিধি ৪৪ অনুসরণ করে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ঋণের শ্রেণিমান যা ছিল, ৩০ জুন পর্যন্ত ওই ঋণ তার চেয়ে বিরূপ মানে শ্রেণীকরণ করা যাবে না।

এমআরএর তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৫৮টি ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান এমআরএ থেকে সনদ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে গ্রাহকেরা ঋণ নিয়েছেন প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা।

জানতে চাইলে এমআরএর নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান অমলেন্দু মুখার্জি আজ সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, ঋণের কিস্তি কেউ পরিশোধ করতে পারলে করবেন। তবে কেউ করতে না পারলে তাঁকে খেলাপি হিসেবে গণ্য করা যাবে না অন্তত ৩০ জুন পর্যন্ত।