হিমায়িত চিংড়ি ও মাছের ৪৬০ কোটি টাকার ক্রয়াদেশ বাতিল

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছের ২৯০টি ক্রয়াদেশ বাতিল হয়েছে। তাতে ৫ কোটি ৯৭ লাখ মার্কিন ডলার বা ৪৬০ কোটি টাকার রপ্তানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্রেতারা নতুন ক্রয়াদেশ না দেওয়ায় ৯৯৯ কোটি টাকার হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ অবিক্রীত পড়ে আছে।

বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন গতকাল মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে দেওয়া এক চিঠিতে এসব তথ্য জানান। সেখানে তিনি বলেন, দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত ১০৫টি হিমায়িত মৎস্য প্রক্রিয়াজাত কারখানা রয়েছে। তবে তার মধ্যে চালু আছে ৩০ থেকে ৩৫টি। এই অবস্থার মধ্যে করোনাভাইরাসের কারণে গত জানুয়ারি থেকে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানির ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছে।

অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে কাজী বেলায়েত হোসেন লিখেছেন, চলতি মার্চ মাসে বাগদা চিংড়ির মৌসুম শুরু হয়েছে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় ঘের থেকে বাগদা চিংড়ি আহরণ করতে হয় কৃষকদের। এক গোণের চিংড়ি আহরণ না করলে পরবর্তী গোণ পর্যন্ত অধিকাংশ চিংড়ি মারা যায়। তা ছাড়া উচ্চমূল্যের কারণে চিংড়ি ঘেরে ৫০ থেকে ৬০ গ্রেড হলেই কৃষকেরা তা আহরণ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কারণ, অনেক সময় ভাইরাসের কারণেও চিংড়ি মারা যায়।

রপ্তানিমুখী হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ শিল্পের সঙ্গে ৬০ লাখের বেশি মানুষ জড়িত। এমন তথ্য উল্লেখ করে কাজী বেলায়েত হোসেন সরকারের কাছে বর্তমান সংকট মোকাবিলায় হিমায়িত চিংড়ি ও মাছ রপ্তানিতে ১০ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার দাবি করেন।

এ ছাড়া উৎপাদনে থাকা হিমায়িত মৎস্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের সব ঋণের ওপর ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বিনা সুদে ঋণ দেওয়ার দাবি করেন বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি। এ ছাড়া করোনার কারণে অবিক্রীত মজুত পণ্যের ওপর গত জানুয়ারি থেকে দুই বছরের সুদ মওকুফ করার অনুরোধ করেন তিনি।