করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১৫ কোটি টাকা দিচ্ছে বেক্সিমকো

বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান প্রথম ধাপের উপকরণ নির্ধারিত হাসপাতালের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেন। ছবি: সংগৃহীত
বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান প্রথম ধাপের উপকরণ নির্ধারিত হাসপাতালের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেন। ছবি: সংগৃহীত

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যকর্মীদের দুই ধাপে ১৫ কোটি টাকার ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই), ওষুধ ও টেস্ট কিট দেবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান প্রথম ধাপের উপকরণ নির্ধারিত হাসপাতালের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেন, যাঁরা করোনা শনাক্তের পরীক্ষাকেন্দ্র ও আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক মিয়া সেপ্পো, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রতিনিধি বর্দন জং রানা, আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপ।

বেক্সিমকো ফার্মা জানায়, তারা বিদেশ থেকে আমদানি করা উচ্চমানের টিওয়াইভিইকে প্রোটেকটিভ কভারওয়ালা মুখবন্ধনী, গ্লাভস, সুরক্ষিত চশমাসহ পিপিই দুই ধাপে বিতরণ করবে। প্রথম ধাপে দুই পরীক্ষাকেন্দ্র আইইডিসিআর ও আইসিডিডিআরবি এবং কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা, কমলাপুর রেলওয়ে, নয়াবাজার মহানগর, মিরপুর বিএভিএস মেটারনিটি, কামরাঙ্গীরচর ৩১ শয্যা, আমিনবাজার ২০ শয্যা, জিঞ্জিরা ২০ শয্যা ও ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে পিপিই দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৫০টির বেশি শীর্ষস্থানীয় হাসপাতালে পিপিই সরবরাহ করবে বেক্সিমকো ফার্মা।


সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপের চেয়ারম্যান এ এস এফ রহমান বলেন, ‘যেকোনো ধরনের জাতীয় দুর্যোগে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে বেক্সিমকো গ্রুপ সব সময়ই বদ্ধপরিকর। কোভিড-১৯ রোগের বিস্তার বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যখন বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশই আক্রান্ত হচ্ছে, তখন এই মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় আমরাও এক নজিরবিহীন চ্যালেঞ্জের মুখে।’


প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের করপোরেট খাত তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা সম্পর্কে ভীষণভাবে সচেতন। এ ধরনের যেকোনো সংকট মোকাবিলায় তারা সব সময়ই জাতীয় উদ্যোগে শামিল হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি খাত উভয়কে সম্পৃক্ত করে সব দিক থেকে এই যুদ্ধ লড়তে হবে।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি বেক্সিমকো গ্রুপের এই উদ্যোগ অন্য ছোট-বড় প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তাদের সাধ্যমতো এই সংকট মোকাবিলায় সরকারের সহায়তায় এগিয়ে আসতে উদ্বুদ্ধ করবে।’