চাল, ডাল, তেল ও চিনির দাম চড়া

চাল, ডাল, তেল ও চিনি—সবার সংসারেই এ চার পণ্য জরুরি। বাজারে এখন যেসব পণ্য চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে, সে তালিকায় রয়েছে এসব পণ্য। ফলে সাধারণ ছুটির মধ্যে নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষ চরম বিপাকে রয়েছে।

তবে পেঁয়াজের দাম কমেছে। রসুনের দামও পড়তি। ডিম, মুরগি, আলু ও সবজির তেমন কোনো চাহিদা নেই। বাজার পড়তির দিকে। কমছে না শুধু চাল, ডাল, তেল ও চিনির দাম।

বাজারে এখন প্রতি কেজি মোটা চাল ৩৮ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি বিভিন্ন চাল পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দরে। আর সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকায়। গত নভেম্বর থেকে দফায় দফায় চালের দাম বেড়েছে। নভেম্বরে মোটা চাল ৩২ টাকা, মাঝারি চাল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ও সরু চাল ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়।

সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সর্বশেষ ২৫ মার্চ পর্যন্ত ঢাকার খুচরা বাজারের একটি হিসাব দিয়েছে। তাতে দেখা যায়, কারওয়ান বাজার, মিরপুর-১, মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেট ও নিউমার্কেট কাঁচাবাজারে মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। গত ৩ নভেম্বর তা ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকার মধ্যে। এ হিসাবে মোটা চালের সর্বনিম্ন দরও প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

পুরান ঢাকার বাবুবাজারের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, বোরো মৌসুমের নতুন চাল আসার আগে দাম কমার আশা কম। নতুন চাল আসবে আগামী মাসের শেষ দিকে।

>

পেঁয়াজ, রসুন, ডিম, মুরগি, সবজির দাম কমেছে। রোববার থেকে খোলাবাজারে ১০ টাকা দরে চাল বিক্রি শুরু।

বাজারে মোটা মসুর ডালের প্রতি কেজি দাম উঠেছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়, দুই মাস আগে তা ছিল ৬০ টাকার মধ্যে। মাঝারি দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়, এটা ছিল ৭০ টাকার মধ্যে। আর সরু দানার মসুর ডাল প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকার মধ্যে ছিল, যা এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বাজারদরের তালিকা তুলনা করলে দেখা যায়, চার মাসে মোটা মসুর ডালের দামও প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়েছে।

খোলা সয়াবিন তেল এখন প্রতি লিটার ৯৫ থেকে ৯৭ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জানুয়ারিতে তা ৮৫ টাকার মধ্যে ছিল। সয়াবিন তেলের ছোট বোতলের দামও বাড়তি। কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতা আবুল কাশেম প্রথম আলোকে বলেন, এক লিটারের বোতলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য (এমআরপি) ১১০ টাকা। সেটা এত দিন ১০০ টাকায় বিক্রি হতো।

খাদ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, সরকার খোলাবাজারে বিক্রি কর্মসূচির (ওএমএস) চালের দাম কমিয়ে কেজি ১০ টাকা করেছে। আগামী রোববার থেকে এ দামে বিক্রি শুরু হবে। একজন মানুষ একবারে সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন। সপ্তাহে কেনা যাবে একবার। চাল কেনার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র দেখাতে হবে।