দুই মন্দার সামনে বিশ্ব অর্থনীতি: ইআইইউ

প্রতীকী ছবি। রয়টার্স
প্রতীকী ছবি। রয়টার্স

বিশ্ব অর্থনীতি ইতিমধ্যে ১৯৩০ সালের মহামন্দার চেয়ে খারাপ মন্দার মুখোমুখি আছে। তবে এর পরে আরও খারাপ একটি মন্দা আসতে পারে বলে সতর্ক করেছে লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ)। বিভিন্ন দেশের সরকার নিজ নিজ অর্থনীতির উন্নয়নে সহায়তার জন্য কোটি কোটি ডলার সহায়তা প্যাকেজ দিচ্ছে। তারা যে সার্বভৌম ঋণ নিচ্ছে, তা বৈশ্বিক অর্থনীতিকে দ্বিতীয় মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে মনে করছে ইআইইউ।

এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা সংস্থা (আইএমএফ) সতর্ক করে বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বিশ্ব অভাবনীয় এক সংকটে পড়েছে। ১৯৩০ এর দশকের মহামন্দার পরে বিশ্ব সবচেয়ে বড় মন্দার মুখোমুখি হয়েছে। ইআইইউ এখন বলছে, দুর্বল ব্যালান্স শিটের সঙ্গে সঙ্গে সরকারগুলোর ঋণ সংকট আরেকটি মন্দার ঝুঁকি তৈরি করছে।

ইআইইউয়ের বৈশ্বিক পূর্বাভাসবিষয়ক পরিচালক আগাথে ডেমারাইজ বলেন, ইউরোপের অনেক দেশ যেগুলো এই মহামারির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেমন ইতালি, স্পেন—এরা প্রাদুর্ভাবের আগেই দুর্বল আর্থিক অবস্থানে ছিল। দেখা যাবে, এগুলোর যেকোনো একটি দেশের সম্ভাব্য ঋণ সংকট দ্রুত অন্য উন্নত দেশ এবং উদীয়মান বাজারগুলোয় ছড়িয়ে পড়বে। এভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে সম্ভাব্য আরও খারাপ মন্দা নিয়ে আসবে।

ইআইইউ আরও সতর্ক করে বলেছে, পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান আর্থিক ঘাটতির দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব এখনো অজানা। বিভিন্ন দেশে এখন লকডাউন চলছে। বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময়ে এই বিধিনিষেধ আরোপ করার কারণে বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হতে পারে। তারা মনে করছে, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার খুবই ধীরে ধীরে হবে, কারণ বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন সময়ে লকডাউন তুলবে।

এর আগে আইএমএফ তাদের সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে যুক্তরাজ্য, জার্মানি, জাপান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করা হয়েছে; তবে সেখানে এটাও বলা হয়েছে, কোনো দেশই অর্থনীতির অবনতি এড়াতে পারবে না।