কারখানা লে-অফ ও শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান

করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কারখানা লে-অফ ও কোনো শ্রমিক ছাঁটাই করা যাবে না বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। শিল্প উদ্যোক্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই করা যাবে না। কোনো কারখানা লে-অফ করা যাবে না।

রাজধানীর বিজয়নগরের শ্রম ভবনে আজ শনিবার সরকার, মালিক ও শ্রমিকপক্ষের ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) ৬৪তম সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। একই সঙ্গে তিনি ঈদের আগেই শ্রমিকদের বোনাস পরিশোধ করতে শিল্প উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

অবশ্য করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ঘোষিত ছুটি শুরু হওয়ার পরপরই পোশাক কারখানার অনেক মালিক কারখানা লে-অফ করেন। পরবর্তী সময়ে ছুটি বৃদ্ধি পেলে কারখানা লে-অফের সংখ্যাও বাড়তে থাকে। পোশাক কারখানার মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমই্এর নেতারা ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, প্রায় ৯০ শতাংশ কারখানা লে-অফ করেছে। অন্যদিকে বেশ কয়েক হাজার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছে একাধিক শ্রমিক সংগঠন।

কারখানা চালু করার বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, অর্থনীতির গতি সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী শিল্পমালিকেরা কারখানা চালু করতে চাইলে অবশ্যই কঠোরভাবে স্বাস্থ্য বিধিমালা প্রতিপালন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে শিল্প পুলিশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর (ডিআইএফই) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

করোনার এই সময়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করে বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, কারখানা চালু রাখার ক্ষেত্রে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি আগে দেখতে হবে।

সভায় উপস্থিত ছিলেন শ্রমসচিব কে এম আলী আজম, ডিআইএফইর মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায়, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান ও জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক।

ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় অংশ নেন বাংলাদেশ এমপ্লয়্যার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমান, পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক, বিকেএমইএর প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বাংলাদেশে চা সংসদের চেয়ারম্যান শাহ আলম, গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা তানভির হোসাইন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক জোটের সভাপতি শিরিন আখতার, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন শ্রম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রেজাউল হক।