দিনে দুই লাখ লিটার দুধ সংগ্রহ করছে প্রাণ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশজুড়ে চলমান সাধারণ ছুটির মধ্যেও শীর্ষস্থানীয় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ ডেইরি লিমিটেড তাদের নিজস্ব চুক্তিবদ্ধ খামারিদের কাছ থেকে নিয়মিত দুধ সংগ্রহ করছে। প্রায় ১২ হাজার চাষির কাছ থেকে দৈনিক দুই লাখ লিটারের বেশি দুধ সংগ্রহ করছে প্রতিষ্ঠানটি। এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রাণ এ তথ্য জানায়।

এতে প্রাণ ডেইরির প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুর রহমান বলেন, ‘এখন খাবার হোটেল, চা–মিষ্টির দোকান বন্ধ থাকায় এবং অনেকে দুধ কেনা বন্ধ করায় খামারিরা বিপাকে পড়েছেন। কিন্তু আমরা দুধ সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছি। স্বাভাবিক সময় আমরা চুক্তিভিত্তিক চাষিদের কাছ থেকে যে পরিমাণ দুধ সংগ্রহ করি, এখনো আমরা একই পরিমাণ দুধ সংগ্রহ করছি।’

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে পাবনার চাটমোহর, নাটোরের গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও বাঘাবাড়ী এবং রংপুরে প্রাণ ডেইরির মোট পাঁচটি কেন্দ্র বা হাব রয়েছে। এসব হাবের অধীন ১০১টি দুগ্ধ সংগ্রহ ও শীতলীকরণ কেন্দ্র রয়েছে। দুগ্ধ সংগ্রহ ও শীতলীকরণ কেন্দ্রে খামারিরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুধ সরবরাহ করছেন। দুধে চর্বির (ফ্যাট) পরিমাণের ওপর নির্ভর করে লিটারপ্রতি ৩৮-৪৫ টাকা দরে এই দুধ কেনা হচ্ছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল বলেন, ‘করোনার কারণে শুরুর দিকে খামারিদের দুধ বিপণনে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। তবে সরকার কৃষি, ডেইরির সঙ্গে সম্পৃক্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য সরবরাহ ও বিপণন স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পর আমরা এখন সহজেই কৃষক ও খামারিদের পণ্য ভোক্তার হাতে তুলে দিতে পারছি। এতে করে প্রান্তিক খামারিরা উপকৃত হচ্ছেন।’

তিনি আরও বলেন, সাধারণত রমজান মাসে দুধের চাহিদা একটু বেশি থাকে। এ অবস্থায় খামারিরা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক ক্রেতা দুধ ঠিকমতো কিনতে পারছেন না। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ঘরে পৌঁছে দেওয়া বা হোম ডেলিভারি সুবিধা চালু করেছে প্রাণ। পাস্তুরিত দুধ, দই, মাঠা, মাখন, চিজ নিজস্ব বিক্রয়কর্মীর মাধ্যমে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয়।