বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে আটকে আছে ২৪০০ ট্রাক

বেনাপোল। ফাইল ছবি
বেনাপোল। ফাইল ছবি

ভারত থেকে বাংলাদেশে ঢোকার জন্য পণ্যবাহী ২ হাজার ২০০ ট্রাক অপেক্ষায় আছে। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢোকার জন্য আটকে আছে ২০০ ট্রাক। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এসব পণ্য রেলপথে চারটি জায়গা দিয়ে আনা-নেওয়ার ব্যাপারে কাজ চলছে। আগামী রোববার এ নিয়ে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক হবে।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা জানান। বাণিজ্যসচিব মো. জাফরউদ্দীন, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. হাসান জাহাঙ্গীর, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় রাজনীতির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর বন্ধ রয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি অব্যাহত রাখতে রেলপথ ব্যবহারের চেষ্টা চলছে। এতে কনটেইনারে করে রেলপথে পণ্য আমদানি–রপ্তানি করা যাবে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে আমদানি-রপ্তানির সব ধরনের প্রচেষ্টাই অব্যাহত রেখেছে সরকার। সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দরগুলোকে চালু রাখা হয়েছে। বিশেষ ব্যবস্থায় দ্রুত মালামাল খালাসও করা হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সামনের মৌসুমে পাট চাষের জন্য ভারত থেকে ৩০০ টন পাটবীজ আমদানি করা হয়েছে। এরপর থেকে বন্ধ। আর চাহিদা মোতাবেক রপ্তানি অব্যাহত রাখতে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে করোনার কারণে কাউকে যেন ছাঁটাই করা না হয়।

ক্রয় আদেশ বাতিল না করতে তৈরি পোশাকের বিদেশি ক্রেতাদের চিঠি দেওয়া হবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। বলা হবে তাঁরা যাতে করোনাভাইরাসের চলমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোনো ক্রয় আদেশ বাতিল না করেন।

আগামী শনিবার থেকে সরকারি বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ২৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করবে। সংস্থাটি এত দিন ৩৫ টাকা কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করে আসছিল।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে প্রতিবছর যে পরিমাণ মজুত রাখতে হয়, সে তুলনায় এবার রাখা হয়েছিল তার ১০ গুণ মজুত। যে কারণে করোনা পরিস্থিতিতেও ভালো অবস্থায় রয়েছি। দুঃখজনক যে এর মধ্যেও কিছু ব্যবসায়ী অনিয়ম করেছেন। তাঁদের অনেকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।

দেশব্যাপী ৫০০ জায়গা থেকে টিসিবি ট্রাকে ও বিভিন্ন ডিলারের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করছে। নিত্যপণ্যের যে মজুত আছে তাতে আগামী চার মাসেও কোনো সমস্যা হবে না।

টিপু মুনশি বলেন, ছোলা, ডাল, ভোজ্যতেল যথেষ্ট আছে। সরকার চাপ সৃষ্টি করায় আদার দাম কমে গেছে। দেশের বড় দুটি ব্যবসায়ী গোষ্ঠী মেঘনা ও সিটি চিনি, তেল ও ডালের দাম ৫ থেকে ১০ টাকা করে কমিয়েছে।