৩০ হাজার উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে দারাজ-সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম

বর্তমানে কোভিড-১৯ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই সংকটপূর্ণ অবস্থায় তাঁদের সহযোগিতা করতে (daraz.com.bd) ‘দারাজ-সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম’ কার্যক্রম শুরু করে দারাজ বাংলাদেশ। গত ২৬ এপ্রিল এ কার্যক্রম শুরু করে আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গসংগঠন দারাজ বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দারাজের প্ল্যাটফর্মে খুচরা বিক্রেতাদের অনলাইন বিক্রয়ে উদ্বুদ্ধ করতে এবং তাঁদের ব্যবসা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করায় সহায়তা করতে দেশজুড়ে এ সাপোর্ট ড্রাইভটি শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দারাজ ৩০ হাজারের বেশি উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে প্রতিষ্ঠানটি ব্যয় করছে প্রায় দেড় কোটি টাকা।

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের ফলে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতি ইতিমধ্যেই একটি বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এটিও স্পষ্ট যে ক্ষুদ্র-মাঝারি ব্যবসা (এসএমই) খাত, যেগুলো মূলত উন্নয়নশীল অর্থনীতির উদ্যোগগুলোর বৃহত্তম অংশের প্রতিনিধিত্ব করে, সেগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে ও উদ্যোক্তাদের ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করতেই দারাজ-সেলার মৈত্রী প্রোগ্রামের আয়োজন।

দারাজ-সেলার মৈত্রী প্রোগ্রামটি একটি তাৎক্ষণিক সাইন-আপ প্রক্রিয়া সরবরাহ করছে, যা দারাজ প্ল্যাটফর্মে ব্যবসায়ীদের কেবল দুই দিনের মধ্যে বিক্রয় শুরু করতে সক্ষম করবে। উপরন্তু, দারাজ বাংলাদেশ এসব বিক্রেতার ওপর মে এবং জুন মাসে কোনো প্রকার সেল কমিশন ধার্য করবে না। বিক্রেতারা বিভিন্ন রকমের ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে ব্যবসাকে আরও সহজ করতে পারবেন। সঙ্গে থাকছে ইনভেন্টরি রাখার সুবিধা ও ব্যবসা বৃদ্ধির বিভিন্ন প্রোমোশনাল ফিচার, যা তাঁদের দারাজ শপে বিক্রয় বৃদ্ধি করতেও সহায়তা করবে।

এ কার্যক্রম দ্বারা স্থানীয় খুচরা বিক্রেতারা চিরাচরিত দোকান–ব্যবসার বাইরে খুব অল্প সময়ের মধ্যে অনলাইন ব্যবসা শুরু করার সুযোগ এবং অর্থ উপার্জনের বৈচিত্র্যময় মাধ্যমগুলো সম্পর্কে অবগত হতে পারবেন। একান্ত সমর্থন ও বিনা মূল্যে ব্যবসার পরামর্শ দানের মাধ্যমে এসএমই খাতকে পুনর্গঠিত করা প্রোগ্রামটির প্রধান উদ্দেশ্য। এ ছাড়া স্বচ্ছন্দে ব্যবসা চালাতে সাহায্য করতে দারাজ (daraz.com.bd) বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের বিনা মূল্যে ই-কমার্স এডুকেশন এবং ই-কমার্স অপারেশন–সম্পর্কিত প্রশিক্ষণের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। এতে বিক্রেতারা দারাজের বিভিন্ন উদ্যোগের ব্যাপারে সহজেই জানতে পারেন।

দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘দারাজে আমাদের মূল লক্ষ্য হলো ডিজিটাল যুগে দেশের যেকোনো জায়গায় থেকেও ব্যবসা করাকে সহজ করে তোলা। তাই বিক্রেতাদের সুবিধার্থে ও অনলাইনে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পুনরায় গতিময় করতে আমরা দারাজ–সেলার মৈত্রী প্রোগ্রাম উদ্যোগটি গ্রহণ করেছি। আশা করছি এ কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের সেলার কমিউনিটি উপকৃত হবে এবং এ সময়ে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা বড় একটি ভূমিকা রাখব।’

বলা বাহুল্য, কোভিড-১৯ মহামারিটি ই-কমার্স ব্যবসার ক্ষেত্রে অপ্রত্যাশিত ও নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও দারাজ (daraz.com.bd) তার মূল নীতিতে অটল থাকছে, আর তা হলো ডিজিটাল যুগে যেকোনো জায়গায় বসে ব্যবসা সহজতর করা এবং বিক্রেতাদের ও ব্যবসায়িক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাওয়া।