ঈদের আগে সব শ্রমিকের বেতন-ভাতা দেওয়ার দাবি স্কপের

শারীরিক দূরত্ব মেনে মানববন্ধনে অংশ নেন স্কপের নেতারা। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ছবি: স্কপের সৌজন্যে
শারীরিক দূরত্ব মেনে মানববন্ধনে অংশ নেন স্কপের নেতারা। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। ছবি: স্কপের সৌজন্যে

ঈদের আগে সব শ্রমিকের বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি করছে শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)। একই সঙ্গে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের রেশন এবং করোনায় আক্রান্ত শ্রমিকদের চিকিৎসা ও মৃত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।

দাবি আদায়ে স্কপের নেতারা আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে মানববন্ধন করেন। এতে স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী ফজলুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, জাতীয় শ্রমিক জোট বাংলাদেশের সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামরুল আহসান, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন প্রমুখ।

শ্রমিকনেতারা বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে শ্রমজীবী মানুষ সবচেয়ে বেশি দুর্দশায় পড়েছেন। সাধারণ ছুটিতে কারখানা বন্ধ থাকলেও পোশাকশ্রমিকদের মজুরি দিতে সরকার মালিকদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিয়েছে। তা সত্ত্বেও কত শতাংশ মজুরি দেওয়া হবে, তা নিয়ে বিতর্ক ও কালক্ষেপণ করা হচ্ছে, যা শ্রমিকদের মধ্যে অনিশ্চয়তা ও অসন্তোষ বাড়িয়ে দিচ্ছে।

পোশাকের বাইরে রি-রোলিং ও স্টিল মিল, পরিবহন, নৌযান, চা–শিল্প, গৃহকর্মী, সেলুন, হোটেল-রেস্তোরাঁ, হস্তশিল্পী, ছাপা-মুদ্রণ ও বাঁধাই, স্বর্ণকার, দর্জি, হকার, দোকানের কর্মচারীসহ অনেক খাতের শ্রমিকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। এমন তথ্য দিয়ে স্কপের নেতারা আরও বলেন, ঈদের আগে সব শ্রমিকের বকেয়া বেতন-ভাতা ও চলতি মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে। সাধারণ ছুটির সুযোগ নিয়ে শ্রমিকদের মজুরিবঞ্চিত করতে অনেক মালিক অযৌক্তিকভাবে কারখানা লে-অফ ও শ্রমিক ছাঁটাই করেছে, যা শ্রম আইনের অপপ্রয়োগ। যেসব মালিক শ্রমিক ছাঁটাই করেছেন ও কারখানা লে-অফ করেছেন, সেসব মালিকের শাস্তি দিতে হবে। অবিলম্বে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া ছাঁটাই করা শ্রমিকদের পুনর্বহাল করতে হবে।

করোনার দুর্যোগে কর্মহীন ও বেকার হয়ে পড়া শ্রমিকদের এককালীন সহায়তা এবং অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করার দাবি করেন স্কপের নেতারা। তাঁরা বলেন, সাধারণ ছুটিকে উপেক্ষা করে মালিকেরা শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না করে সীমিত আকারে কারখানা চালুর কথা বলে ব্যাপকভাবে কারখানা খুলে দিয়েছেন। এতে যদি শ্রমিকেরা করোনায় আক্রান্ত হন, তাঁদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব এবং মৃত্যুবরণ করলে ক্ষতিপূরণ মালিকপক্ষকে বহন করতে হবে।