ওয়ালমার্ট এখন 'সেকেন্ড হ্যান্ড' কাপড় বিক্রি করছে

করোনা মহামারির মধ্যে নিত্যপণ্যের চাহিদা বাড়লেও দেখা যায় প্রয়োজন ছাড়া কাপড় কিনছেন না অনেকে। এ কারণে লোকসানে পড়ছে অনেক বড় বড় কোম্পানিও। এ পরিস্থিতিতে মুনাফা করার নতুন কৌশল বের করেছে বিশ্বের অন্যতম বড় খুচরা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্ট।নতুন কৌশল হলো সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহৃত কাপড় ও পণ্য বিক্রি করবে তারা। মার্কিন সাময়িকি ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

এ লক্ষ্য অনলাইন পোশাক বিক্রির প্রতিষ্ঠান থ্রেডআপের সঙ্গে জোট বেঁধেছে ওয়ালমার্ট। আগে ব্যবহৃত শ্যানেলের ব্যাগ, মাইকেল কর্সের পোশাক, গুচির আনুষঙ্গিক এবং নাইকির জুতোর মতো ফ্যাশন আইটেম এই অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিক্রি করতে চায় ওয়ালমার্ট।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিয়েলসনের তথ্য অনুযায়ী, ই–কমার্সের মাধ্যমে বেশি কেনাকেটা করেন যুক্তরাষ্ট্রের আফ্রকান আমেরিকানরা। অন্যদের তুলনায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ২৬ শতাংশ বেশি কেনাকাটা করেন তাঁরা। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই বাজারটা ধরতে পারে ওয়ালমার্ট।

নিয়েলসন বলছে, কম দামে ব্র্যান্ডের কাপড় এখন এই মহামারির সময়ে ক্রেতার মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারে বলে মনে করছে কোম্পানিটি।মহামারির কারণে বহু মানুষ চাকরি হারিয়েছেন। অনেকের হাতে অর্থ নেই।এ সময় এত দামি পণ্য বা একদম আনকোরা কিছু কেনা কঠিন। আর এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ৩২ বিলিয়ন ডলারের পুনর্বিক্রয় (রিসেল) বাজারে প্রবেশ করছে ওয়ালমার্ট।

মাল্টিমিডিয়া সংস্থা কালচারব্যাংক্স মনে করে, যখন ওয়ালমার্টের মতো ট্রেন্ডি অনলাইন স্টোর এই ধারায় প্রবেশ করে, ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এটি একেবারের নতুন একটি দিন । বিশেষত শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য দেখলে বিষয়টি আরও বোঝা সহজ। আফ্রিক্যান আমেরিকানরা বা তাদের পরিবারের সদস্যেরা তাদের মোট আয়ের ৩ শতাংশ পোশাকের জন্য ব্যয় করে। অর্থাত তাদের জন্য অর্থ সাশ্রয় করার এবং স্টাইলে থাকার এক দুর্দান্ত উপায় হতে পারে ওয়ালমার্টের নতুন এই প্ল্যাটফর্ম।

থ্রেড আপ ও গ্লোবাল ডাটা রিটেইলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সাল নাগাদ রিসেল বাজার ৩২ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ৫১ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছাতে পারে।