করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় পুঁজিবাজারে ধস

যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ জানায়, গত সপ্তাহে নতুন করে ১৫ লাখ মানুষ বেকার ভাতার আবেদন করেছেন। ছবি: এএফপি
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ জানায়, গত সপ্তাহে নতুন করে ১৫ লাখ মানুষ বেকার ভাতার আবেদন করেছেন। ছবি: এএফপি

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এলে ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হতে পারে, এই আশঙ্কায় বিশ্বব্যাপী শেয়ারবাজারে ধস নেমেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ সতর্ক করেছে, মার্কিন অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। আর এরপরই সূচক কমতে শুরু করে শেয়ারবাজারগুলোয়। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের পুঁজিবাজারে প্রধান প্রধান কোম্পানির শেয়ারের দর গত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি পড়েছে। লেনদেন শেষে ডাও জোন্স সূচক কমেছে ৭ শতাংশ। জাপান, হংকং ও চীনের পুঁজিবাজারে আজ শুক্রবার লেনদেনের শুরুতেই দর কমতে শুরু করে।

গতকাল দরপতন দেখেছে ইউরোপের পুঁজিবাজারও। জার্মানি ও ফ্রান্সের প্রধান সূচক কমেছে ৪ শতাংশ করে। যুক্তরাজ্যের পুঁজিবাজারের প্রধান সূচক এফটিএসই ১০০–ও কমেছে ৪ শতাংশ।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, সরকার, সংস্থা এবং মানুষ প্রথমবারের চেয়ে দ্বিতীয় তরঙ্গের জন্য আরও ভালো প্রস্তুত রয়েছে। তবে সমস্যা হলো অর্থনীতিতে অর্থ ঢালার সীমাবদ্ধতা রয়েছে সরকারগুলোর।

টানা দরপতনের পর গত কয়েক সপ্তাহ কিছুটা ভালো সময় পার করে বিশ্ব শেয়ারবাজার। ভাইরাস মোকাবিলায় দেওয়া লকডাউন বিভিন্ন দেশে শিথিল হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ জানায়, গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ লাখ কর্মসংস্থান হয়েছে। এই অপ্রত্যাশিত সংবাদ বাজারকে কিছুটা চাঙা করে তোলে। তবে ভালো সংবাদ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম বিভাগ জানায়, গত সপ্তাহে নতুন করে ১৫ লাখ মানুষ বেকারভাতার আবেদন করেছেন। প্রায় তিন কোটি মানুষ এখন বেকারভাতা নিচ্ছেন।

মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ নীতিনির্ধারকেরা গত বুধবার জানান, বেকারত্বের হার বছরের শেষে ৯ শতাংশের ওপরে থাকতে পারে। ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর সবচেয়ে খারাপ অবস্থান।