করোনা-পরবর্তী পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা প্রকাশ করবে যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি: রয়টার্স

করোনার প্রাদুর্ভাবে দেখা দেওয়া অর্থনৈতিক সংকট উতরাতে ব্যয়বহুল অবকাঠামোগত বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করছে যুক্তরাজ্য। এটি মাথায় রেখেই আজ বুধবার নতুন অর্থনৈতিক সূচনায় একটি ছোট আকারের বাজেট প্রকাশ করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি ‘অবকাঠামোগত বিপ্লব’ আনতে, ‘নির্মাণ, নির্মাণ এবং নির্মাণের’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। সেই লক্ষ্য স্কুল, সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন, রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণ ও গণপরিবহনের উন্নয়নে ব্যাপক জোর দেওয়া হবে।

আজ বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক আজ দুপুরে তাঁর ব্যয়ের পরিকল্পনা দেবেন। ছোট আকারের এই বাজেটে ইতিমধ্যে সবুজ বিনিয়োগে ৩৭০ কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাড়িগুলোতে আরও বিদ্যুত সক্ষমতা বাড়াতে ২৫০ কোটি ডলার অনুদান দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। হাসপাতালসহ সরকারি খাতের ভবনের জন্য বরাদ্দ হচ্ছে ১২০ কোটি ডলার ।

করোনায় সংক্রমণিত হয়ে যুক্তরাজ্যে এ পর্যন্ত ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে, যা ইউরোপের সর্বোচ্চ। এই সংকট সামাল দিতে গিয়ে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাই সবুজ বিনিয়োগের ওপর জোর দিচ্ছে দেশটি।

মঙ্গলবার ঋষি সুনাক বলেন, ‘এই প্রাদুর্ভাব থেকে উদ্ধারের পর আমরা দেশজুড়ে জীবিকা নির্বাহ ও সহায়তা প্রদানেআমাদের ক্ষমতায় যা করা সম্ভব, তা করা জরুরি বলে মনে করছি। আমাদের গ্রিন হোম অনুদানের ফলে বাসাগুলোতে আরও বেশি বিদ্যুত সক্ষমতা বাড়বে। এতে তাদের বিল কম আসবে। এ ছাড়া হাজার হাজার সবুজ কর্মসংস্থান তৈরি করে এবং দক্ষ দক্ষ ব্যবসায়ী যারা কাজ করার জন্য প্রস্তুত, তাঁদের সমর্থন দিয়ে, আমাদের অর্থনৈতিক কার্যক্রম আবার শুরু হবে। এই পরিকল্পনা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনকে শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার দীর্ঘমেয়াদি অঙ্গীকারেরও একটি অংশ।’

সুনাক আজ সম্পত্তির বাজার বাড়ানোর জন্য আবাসন লেনদেনের ওপর আরোপিত স্ট্যাম্প শুল্ক কমানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করতে পারেন। অবশ্য জরুরি চাকরি ধরে রাখার পরিকল্পনার কোনো পরিবর্তন আসবে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। যার আওতায় সরকার বেসরকারি খাতের কর্মীদের জন্য ৮০ শতাংশ বেতন দেয়।

২৩ মার্চ কোভিড–১৯–এর বিস্তাররোধে দেশব্যাপী লকডাউন জারি করে যুক্তরাজ্য। পরে প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমে আসায় এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করার জন্য ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ তুলে নিতে শুরু করে।সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ৪০ বছরের মধ্যে প্রথম সংকোচন দেখেছে অর্থনীতি। জানুযারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সময়ে অর্থনীতি ২ দশমিক ২ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশটির প্রভাবশালী সেবা খাত। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে আরও পতনের আশঙ্কা করছেন তাঁরা।