শিশুর বেড়ে ওঠার পুষ্টি নিয়ে বাঁধনের পরামর্শ

করোনাকালে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক সুস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে বিশেষজ্ঞ ও কীর্তিমান ব্যক্তিত্বদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ নিয়ে হরলিকসের সহযোগিতায় প্রথম আলোর বিশেষ অনুষ্ঠান ‘বেড়ে ওঠার পুষ্টি’। এই অনুষ্ঠানের আজকের পর্বে শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয় নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন আজমেরী হক বাঁধন। বাঁধন একজন অভিনেত্রী, দন্ত চিকিৎসক এবং কর্মজীবী মা।

বাঁধন বলেছেন, বর্তমান সময়ে আমরা সবাই বেশির ভাগ সময় বাড়িতেই কাটাচ্ছি এবং আমাদের জীবনযাপনেও পরিবর্তন এসেছে। আর এই সময়ে আমরা মায়েরা সন্তানের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, তার সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা এবং সারা দিন যেন কর্মক্ষম থাকে সেই বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তিত। তাই কয়েকটি বিষয় এর সমন্বয় ঘটানো ভীষণ জরুরি যেমন: সন্তানের পুষ্টিকর খাবার, পর্যাপ্ত ঘুম, শরীর চর্চা এবং মনকে প্রফুল্ল রাখা।

বাঁধন তাঁর সন্তানের ইমিউনিটি ভালো রাখার জন্য কী ধরনের খাবার দিচ্ছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তিনি মেয়েকে বাড়িতে তৈরি স্বাভাবিক পুষ্টিকর খাবার খেতে দেন। যেমন: শাকসবজি এবং দেশীয় ফল। আর বিশেষ করে, এই করোনার সময়ে ভিটামিন সি যুক্ত ফল খাওয়ানো নিশ্চিত করেন। এ ছাড়াও আমিষ জাতীয় খাবার যেমন: ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি। আর এর সাথে সকালে ও রাতে দুই বেলা মেয়েকে খাওয়ান হরলিকস যা তার সন্তানের স্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়।

কর্মজীবী মা হয়ে কাজের পাশাপাশি ঘর সামলিয়ে তিনি বাচ্চার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক কী কী করছেন? উত্তরে বাঁধন বলেন, মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে শরীরচর্চা। তাই তার মেয়ে বিকেলে বাসার ছাদে গিয়ে সাইকেল চালায়, স্কেটিং করে ও বিভিন্নরকম খেলাধুলাও করে। এ ছাড়া, তার মেয়ে গান গাইতে পছন্দ করে, ছবি আঁকে, মা-মেয়ে দুজনে মিলে শ্বাসপ্রশ্বাসের ব্যায়াম করেন, স্কুলে শেখানো শরীর চর্চাগুলো তারা এক সাথে অনুশীলন করে।

আর বাচ্চার পড়ালেখায় উৎসাহ দেওয়ার ব্যাপারে বাঁধন নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, তার মেয়ের এখন অনলাইনে পড়াশোনা করতে হচ্ছে। তাই ক্লাস করা, বাড়ির কাজ, অ্যাসাইনমেন্ট করায় তিনি মেয়েকে সাহায্য করেন। এ ছাড়া আরবি পড়াশোনাও অনলাইনে করানো হচ্ছে। বাচ্চার পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি বলেন, ‘রাতে যদি আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে না ঘুমাই তাহলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাজ করবে না। তাই এই বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে যেন বাচ্চার ঘুমের নিয়মটা ঠিক থাকে। সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।’ বিজ্ঞপ্তি।