করোনার ভ্যাকসিন কাদের লাগবে, বাতলে দিলেন বিল গেটস

বিল গেটস
বিল গেটস

মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেছেন,কোভিড-১৯-এর ওষুধ এবং যে ভ্যাকসিন তৈরি হবে, তা এমন মানুষের মধ্যে বিতরণ করা উচিত, যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন; ‘সর্বোচ্চ দরদাতার’ মাঝে নয়। গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটি আয়োজিত কোভিড-১৯ নিয়ে এক সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন গেটস।

গেটস বলেন, ‘যদি আমরা ওষুধ আর ভ্যাকসিন যে জায়গায় সর্বাধিক প্রয়োজন, সেখানে না দিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতাকে দিই, তবে এই মহামারি আরও দীর্ঘ হবে এবং তা গুরুতর অন্যায় হবে। বিতরণের ক্ষেত্রে আমাদের বৈশ্বিক নেতাদের প্রয়োজন, যাঁরা সমতার ভিত্তিতে বণ্টনে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। বাজারভিত্তিক বণ্টন করবেন না।’

গেটস বলেন, ‘বৈশ্বিক সহযোগিতা, সরঞ্জাম উদ্ভাবন ও যেখানে যাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, তা খুঁজে বের করা বেশ জটিল। যখন সংস্থা, জাতিসমূহ, প্রতিষ্ঠান সম্মিলিত প্রতিক্রিয়ায় একসঙ্গে কাজ করার পক্ষে থাকে, তখন অসাধারণ প্রভাব আমরা দেখতে পাই।’ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আনতে কাজ করে চলেছে বিশ্বের অনেক দেশ ও সংস্থা।

তবে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে যে ভ্যাকসিন এলে তা হয়তো উন্নয়নশীল দেশগুলোর তুলনায় ধনী দেশগুলোই আগে পাবে। করোনার যে ভ্যাকসিন আসবে, তা বিনা মুনাফায় সবার জন্য বিবেচনা করার জন্য আহ্বান জানানো হয় সম্মেলনে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, কোভিড-১৯-এর ২১টি ভ্যাকসিন এখন মানব স্বেচ্ছাসেবীদের শরীরে প্রবেশের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে আছে। এর মধ্যে তিনটি ট্রায়ালের তৃতীয় পর্যায়ে। যুক্তরাষ্ট্রে বায়োটেক ফার্ম মডার্না, মার্কিন আরেক ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনিকা এবং চীনের সিনোভাক বায়োটেক করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়েছে। মডার্না যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করছে। সম্প্রতি তারা জানিয়েছে, ভ্যাকসিন তৈরির শেষ ট্রায়াল শুরু করতে তাদের কয়েক সপ্তাহ দেরি হবে।