শেয়ারবাজারের ১০ ব্যক্তি, ১ প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৮ কোটি টাকা জরিমানা

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাট্টলি টেক্সটাইলের পরিচালনা পর্ষদের ৬ সদস্যকে সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থের অপব্যবহারের দায়ে এ জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া তালিকাভুক্ত কোম্পানি কাসেম ড্রাইসেলের শেয়ার নিয়ে কারসাজির জন্য চার কারসাজিকারক ও একটি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৫ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৃহস্পতিবারের সভায় এ জরিমানা করা হয়। সভা শেষে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিএসইসি জানিয়েছে, কাট্টলি টেক্সটাইল আইপিওর অর্থ অপব্যবহারের পাশাপাশি বিএসইসিকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।এ কারণে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এমদাদুল হক চৌধুরীকে এক কোটি টাকা এবং চেয়ারম্যানসহ অপর ৫ পরিচালককে ৫০ লাখ টাকা করে আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কোম্পানিটির ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, চেয়ারম্যান ও এমডিসহ এটির পরিচালক মোট আটজন। এর মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র পরিচালক। এ দুজন স্বতন্ত্র পরিচালককে বাদে বাকি ছয়জনকে মোট সাড়ে তিন কোটি টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।

এ ছাড়া ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত আড়াই মাসেরও কম সময়ে কারসাজির মাধ্যমে কাসেম ড্রাইসেলের শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঘটানো হয়। আর এ কারসাজির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বাজারে কারসাজিকারক হিসেবে পরিচিত নারায়ণ চন্দ্র পাল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস, সোলায়মান রুবেল অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস,প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজ, মো. মাহমুদুজ্জামান ও মো. মাহিবুল ইসলাম। এসব কারসাজিকারকেরা অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে উল্লিখিত সময়ের মধ্যে কাসেম ড্রাইসেলের শেয়ারের দাম ৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩২ টাকায় নিয়ে যায়। সিকিউরিটিজ আইন ভেঙে এ কারসাজির কারণে নারায়ণ চন্দ্র পালকে ৩ কোটি, প্রাইম ইসলামী সিকিউরিটিজকে দেড় কোটি, মো. মাহমুদুজ্জামান ও মো. মাহিবুল ইসলামকে ৩০ লাখ ও সোলায়মান রুবেলকে ১০ লাখ টাকাসহ মোট ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বিএসইসি।