তৈরি পোশাকের নতুন বাজার খুঁজতে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের মহামারির ফলে সৃষ্ট বৈশ্বিক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে রপ্তানি আয়ের বর্তমান ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে ইউরোপে তৈরি পোশাকের বাজার ধরে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি এর পাশাপাশি বাজার খুঁজতে ইউরোপে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের আহ্বান জানিয়েছেন।

গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ইউরোপের ১২টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় এ আহ্বান জানান।
আজ মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপে নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজতে সেখানে কর্মরত রাষ্ট্রদূতদের অনুরোধ জানান। তিনি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিজ নিজ দেশের সরকার ও প্রবাসীদের অবহিত করার জন্য বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেন। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার বিষয়েও রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার অনুরোধ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সরকার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে পেরেছে। দেশের অর্থনীতিতে সাময়িকভাবে যে চাপের সৃষ্টি হয়েছে, তা মোকাবিলায় ১২ দশমিক ১১ বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের হাতে নগদ সহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে।

আব্দুল মোমেন বলেন, দেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইএলওর নির্দেশনা মেনে উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৬৫ লাখ পিস পিপিই রপ্তানি করা হয়েছে। দেশের ওষুধশিল্পের অভাবনীয় উন্নতির ফলে করোনা চিকিৎসায় বিভিন্ন ওষুধ উৎপাদন ও রপ্তানি অব্যাহত রয়েছে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সভায় অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়া বিজিএমইর সভাপতি রুবানা হক সংযুক্ত ছিলেন।

রুবানা হক তৈরি পোশাকশিল্পের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের অবহিত করেন এবং তাদের সহযোগিতা কামনা করেন। রাষ্ট্রদূতেরা সব ধরনের সহযোগিতার বিষয়ে বিজিএমইর সভাপতিকে আশ্বস্ত করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স, সুইডেন, বেলজিয়াম, গ্রিস, স্পেন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস, জার্মান, সুইজারল্যান্ড এবং অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতেরা অংশ নেন।