নারী নির্বাহী বেশি থাকলে কোম্পানির মুনাফা বেশি হয়

লন্ডনে তালিকাভুক্ত ৩৫০টি বড় কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৪টি নারী নেতৃত্বাধীন। রয়টার্স ফাইল ছবি
লন্ডনে তালিকাভুক্ত ৩৫০টি বড় কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৪টি নারী নেতৃত্বাধীন। রয়টার্স ফাইল ছবি

যে কোম্পানিতে নারী নির্বাহীর সংখ্যা বেশি সে কোম্পানি বেশি লাভজনক অবস্থায় যায়। সম্প্রতি নতুন এক গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছেন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

নতুন এই গবেষণায় দেখা গেছে, লন্ডনের তালিকাভুক্ত যে কোম্পানিতে প্রতি তিনজন নির্বাহীর মধ্যে অন্তত একজন নারী সেই কোম্পানি বেশি লাভজনক। এতে আরও বলা হয়, তালিকাভুক্ত কোম্পানির যেগুলোতে কমপক্ষে এক-তৃতীয়াংশ নারী কর্মী রয়েছেন, অন্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় তাদের মুনাফার পরিমাণ ১০ গুন বেশি।

লিঙ্গ বৈচিত্র্য নিয়ে কাজ করা সংস্থা দ্য পাইপলাইনের এর তথ্য অনুযায়ী, লন্ডনে তালিকাভুক্ত ৩৫০টি বড় কোম্পানির মধ্যে মাত্র ১৪টি নারী নেতৃত্বাধীন। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৫ শতাংশ কোম্পানিতে কোনো নারী নির্বাহী নেই।

পাইপলাইনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা লরনা ফিটজসিমনস বলেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বেশি নারী থাকার অর্থ, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের মনোভাব আরও ভালোভাবে বুঝতে সক্ষম হওয়া।

সংস্থাটির গবেষণায় দেখা গেছে, লন্ডনে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির কার্যনির্বাহী কমিটিতে কোনো নারী নেই তাদের নিট মুনাফা দেড় শতাংশ, অন্যদিকে যেসব কোম্পানিতে প্রতি তিনজন নির্বাহীর একজন নারী সেই কোম্পানির মুনাফার পরিমাণ ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। লন্ডনের তালিকাভুক্ত ১০০টি বড় কোম্পানিতে দেখা গেছে, প্রধান নির্বাহী পদে মাত্র ১০ জন নারী আছেন। অন্যদিকে কোম্পানিগুলোতে বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ৯৬ শতাংশ ক্ষমতায় রয়েছে পুরুষ নির্বাহীর কাছে। নির্বাহী ভূমিকার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম নারী আছেন নির্মাণ ও খুচরা খাতে।

লরনা ফিটজসিমনস বলেন, ‘যদি আপনি খুচরা খাতের দিকে লক্ষ করেন তবে দেখতে পাবেন এন্ট্রি লেভেলে নারীর সংখ্যা ৮০ শতাংশ, অথচ এ অবস্থা নির্বাহী স্তরে নয়।’

এই প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে । তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যে উচ্চ পর্যায়ে নারী প্রতিনিধিত্ব এত কম হওয়ার কোনো ভালো ব্যাখ্যা নেই।