বৈশ্বিক চাপ নিয়ে 'শীর্ষ সম্মেলনে' হুয়াওয়ে

করোনা মোকাবিলা করতে কীভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায় তা নিয়ে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ের চার দিনব্যাপী অনলাইন সম্মেলন শুরু হয়েছে। করোনার কবল থেকে কীভাবে বিশ্ব অর্থনীতির গতি বাড়ানো যায় তা নিয়েও আলোচনা হবে ‘বেটার ওয়ার্ল্ড সামিট’ শীর্ষক এই সম্মেলনে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

বিশ্বের বৃহত্তম টেলিকম সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা হুয়াওয়ে বলছে, এই শীর্ষ সম্মেলনে হুয়াওয়ের ডেপুটি চেয়ারম্যান গুও পিং এবং দক্ষিণ আফ্রিকার টেলিকমমন্ত্রী স্টেলা এনদাবেনি-আব্রাহামস সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রযুক্তি খাতের নির্বাহী এবং বিশেষজ্ঞরা আলোচনায় অংশ নেবেন। বেইজিং এবং পশ্চিমা সরকারগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বাড়ায় ক্রমবর্ধমান চাপে আছে হুয়াওয়ে। এরপরও এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এদিকে হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগিতার বিষয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছে বহুজাতিক ব্যাংক হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন (এইচএসবিসি)। সম্প্রতি চীনা গণমাধ্যমের এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে ফাঁদে ফেলা এবং প্রতিষ্ঠানের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়ানঝুর গ্রেপ্তারে ভূমিকা ছিল এইচএসবিসির। তবে এ খবর অস্বীকার করেছে এইচএসবিসি। গত শনিবার এইচএসবিসি চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম উইচ্যাটে একটি বিবৃতি পোস্ট করে। এতে ব্যাংকটি জানায়, হুয়াওয়ে বিষয়ে মার্কিন বিচার বিভাগের তদন্তের সিদ্ধান্তে এইচএসবিসির অংশগ্রহণ ছিল না। ব্যাংকটি জানায়, হুয়াওয়ের সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই এইচএসবিসির, হুয়াওয়েকে তারা ফাঁদেও ফেলেনি। এর প্রতিক্রিয়ায়, বেইজিং-নিয়ন্ত্রিত আরেকটি সংবাদপত্র, গ্লোবাল টাইমস বলছে, চীনা পর্যবেক্ষকেরা এইচএসবিসির বক্তব্যকে মোটেই বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে অভিহিত করেছেন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের সরঞ্জাম ব্যবহার না করতে ফাইভ আই ইন্টেলিজেন্স জোটের সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছে। এদের মধ্যে রয়েছে, যুক্তরাজ্য, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড। ইতিমধ্যে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়া তাদের ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়ের পণ্য নিষিদ্ধ করেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি আগামী বছর থেকে চীনা কোম্পানি হুয়াওয়ের আর কোনো ৫-জি পণ্য কিনতে পারবে না যুক্তরাজ্যের মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো—এমন ঘোষণা দেয় ব্রিটিশ সরকার। সেই সঙ্গে ২০২৭ সালের মধ্যেই তাদের নেটওয়ার্ক থেকে হুয়াওয়ের ৫-জি যন্ত্রাংশ সরিয়ে ফেলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।