যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে বেকার ভাতা আবেদনকারীর সংখ্যা

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বেকার ভাতার আবেদন জানায়। ছবি: রয়টার্স
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বেকার ভাতার আবেদন জানায়। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রে কমেছে বেকার ভাতা আবেদনকারীর সংখ্যা। গত মার্চের পর এই প্রথম আবেদনকারীর সংখ্যা ১০ লাখের নিচে নেমেছে। দেশটির শ্রম বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে ৯ লাখ ৬৩ হাজার মানুষ বেকার ভাতার আবেদন জানান, যা তার আগের সপ্তাহের চেয়ে ১২ লাখ কম। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গত মার্চে এক সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ৬৯ লাখ মানুষ বেকার ভাতার আবেদন করেন। তবে লকডাউন ধীরে ধীরে তুলে নেওয়ায় সেই তুলনায় এখন এই সংখ্যা অনেক কমে এসেছে; যদিও এখনো এই সংখ্যা করোনা–পূর্ববর্তী অবস্থার চেয়ে অনেক বেশি। ২৫ জুলাই পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে ২ কোটি ৮০ লাখের বেশি মানুষ বেকার ভাতা গ্রহণ করছেন। অর্থাৎ, প্রতি পাঁচজন কর্মক্ষম মানুষের একজন বেকার ভাতা নিচ্ছেন।

ইতিমধ্যে অর্থনীতি রক্ষায় আরেকটি করোনা–সহায়তা প্যাকেজ নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে তুমুল বিতর্ক হচ্ছে। গত শুক্রবার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাঁর ক্যাপিটাল হিলের অফিসে অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মিউচিন এবং হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফস মার্ক মিডোজের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে পেলোসি বলেন, তিনি সাড়ে তিন ট্রিলিয়ন ডলারের পুনরুদ্ধার প্রকল্পে বেশ কয়েক বিলিয়ন ডলারের বেকার ভাতার প্রস্তাব দিতে চান। এই প্রস্তাব ডেমোক্র্যাট সংখ্যাগরিষ্ঠ চেম্বারে পাস হলেও রিপাবলিকান–নিয়ন্ত্রিত সিনেট তা খারিজ করে দেয়। রিপাবলিকানরা বলছেন, এই প্যাকেজ হতে হবে এক ট্রিলিয়নের মধ্যে, যার অধিকাংশ ব্যয় হবে স্বাস্থ্য খাতে।

করোনার আগে সর্বোচ্চ বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা ছিল এক সপ্তাহে ৬ লাখ ৯৫ হাজার। তা ছিল ১৯৮২ সালে। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসে কর্মসংস্থান পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলেও জুনে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়। লকডাউন শিথিল হওয়ায় নতুন নিয়োগ শুরু হয়। জুনে কর্মসংস্থান হয় প্রায় ৪৮ লাখ মানুষের। তবে জুলাইয়ে আবার করোনার দ্বিতীয় দফা ঢেউ ওঠায় কর্মসংস্থান হয় ১৮ লাখ। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের বেকারত্বের হার ছিল ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ। জুলাইয়ে অবশ্য তা কমে এসেছে ১০ দশমিক ২ শতাংশে; যদিও তা এখনো অনেক বেশি।