আবারও ৫০০ কোটির ঘরে ডিএসইর লেনদেন

তিন কার্যদিবসের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন আবারও ৫০০ কোটি টাকার ঘরে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে সূচকও ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৫৮০ পয়েন্টে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচকটি এদিন ৮১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১২৩ পয়েন্টে। টানা কয়েক দিনের পতনের পর গত মঙ্গলবার থেকে দুই বাজারে সূচক ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে।
ঢাকার বাজারে গতকাল বুধবার দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ৪৯৫ কোটি টাকা। এর আগে সর্বশেষ ২ জুলাই ডিএসইতে প্রায় ৫০৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। সিএসইতে এদিন লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৪১ কোটি টাকা।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ঈদের ছুটির আগে আর মাত্র চার দিন লেনদেন হবে। তাই ছুটি যতই ঘনিয়ে আসছে, বাজারে বিক্রির চাপ ততই কমে আসছে। এ কারণে বাজারে এখন কিছুটা গতি সঞ্চার হচ্ছে।
প্রতিবছর ঈদের ছুটির আগে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশের মধ্যে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়ার প্রবণতা থাকে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান। তাঁদের মতে, ঈদের আগে বিনিয়োগকারীদের খরচ বাড়ে। সেই খরচের জন্যই মূলত শেয়ার বিক্রি করে টাকা তোলেন বিনিয়োগকারীরা।
বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরও জানান, স্টক এক্সচেঞ্জের নিয়ম অনুযায়ী বর্তমানে শেয়ার বিক্রিযোগ্য হতে বা শেয়ারের লেনদেন সম্পন্ন হতে তিন দিন লাগে। তাই ছুটি শুরু হওয়ার আগে আগে এসে শেয়ার বিক্রি করে টাকা তুলে নেওয়া সম্ভব নয়। এ সময়ে বাজারে বিক্রির চাপ কমে যায়।
ঢাকার বাজারে গতকাল ৩১৮টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১৫৫টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ১১৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৮টির দাম। দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা বেশি।
ডিএসইতে গতকাল লেনদেনের শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় প্রথম স্থানে ছিল গ্রামীণফোন। বুধবার এককভাবে কোম্পানিটির প্রায় ২১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। বাজার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সামনেই কোম্পানিটির অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। আর এটিকে ঘিরে কোম্পানিটির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেড়েছে।
চট্টগ্রামের বাজারে গতকাল ২৫১টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এর মধ্যে ১২৮টিরই দাম বেড়েছে, কমেছে ৭৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল ৪৬টির দাম। দিন শেষে সিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল আগের দিনের চেয়ে এক কোটি টাকা বেশি।