আবারও যান্ত্রিক ত্রুটিতে ডিএসইর লেনদেনে বিলম্ব

লেনদেন যন্ত্রের ত্রুটির কারণে আবারও দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে বিলম্ব ঘটেছে। এ কারণে গতকাল বুধবার ডিএসইতে নির্ধারিত সময়ের ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পরে লেনদেন শুরু হয়। এর আগে গত মে মাসেও দুই দফায় ডিএসইর লেনদেন যন্ত্রে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় লেনদেনে বিলম্ব ঘটেছিল।
প্রধান বাজারে লেনদেনে বিলম্ব সত্ত্বেও দিন শেষে দুই বাজারে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। গত চার দিনের টানা দরপতনের পর সূচক বাড়ল দুই বাজারেই। তবে ডিএসইতে বিলম্বে লেনদেন শুরু হওয়ার সুবিধা পেয়েছে সিএসই। তাতে গতকাল সেখানে শতকোটি টাকার লেনদেন হয়।
নিয়ম অনুযায়ী, শেয়ারবাজারে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত একটানা চার ঘণ্টা লেনদেন চলে। গতকাল ডিএসইতে লেনদেন শুরু হয় দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে, শেষ হয় ৪টা ১০ মিনিটে। অর্থাৎ বিলম্ব ঘটলেও দিনের লেনদেনের মোট সময় ঠিক ছিল।
তবে অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন স্বাভাবিক ছিল।
দিন শেষে ডিএসইর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি বলা হয়, লেনদেন যন্ত্রের ব্যবহারিক ত্রুটির কারণে গতকাল সময়মতো লেনদেন শুরু করা যায়নি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে সে জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডিএসইতে বারবার কারিগরি ত্রুটিতে লেনদেনে বিঘ্ন হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ব্রোকারেজ হাউস ও বিনিয়োগকারীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএসইর শীর্ষ লেনদেনকারী এক ব্রোকারেজ হাউসের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, বিপুল অর্থ খরচ করে নতুন লেনদেন যন্ত্র কেনা হয়েছে। নতুন যন্ত্রে লেনদেন শুরুর এক বছর না পেরোতেই কয়েক দফায় এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর বর্তমান লেনদেন যন্ত্রটি চালু হয়। এ নিয়ে এ পর্যন্ত তিনবার যন্ত্রে ত্রুটির কারণে যথাসময়ে লেনদেন শুরু করা যায়নি।
এদিন ডিএসমইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৮২২ পয়েন্টে। মোট লেনদেন হয় ৬১৬ কোটি টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ৬৯ কোটি টাকা বেশি।
ডিএসইতে গতকাল ৩০৯টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়।
সিএসইতে গতকাল দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ ছিল প্রায় ১০৫ কোটি টাকা, যা গত আড়াই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ গত ২৫ মে চট্টগ্রামের বাজারে প্রায় ১০৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল।
সিএসইতে এদিন ২৫৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়।