এক সপ্তাহের ব্যবধানে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার

প্রায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সিমটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিও চাঁদা গ্রহণের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
বিএসইসির এক সভায় গতকাল বুধবার এ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির আইপিওর চাঁদা সংগ্রহে আর বাধা থাকল না। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে কোম্পানিটির আইপিওর চাঁদা গ্রহণ শুরু হয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।
এর আগে গত ২৩ আগস্ট চাঁদা গ্রহণ শুরুর আগের দিন সন্ধ্যায় অনিবার্য কারণ দেখিয়ে এই কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বিএসইসি। ওই সময় স্থগিতাদেশের কারণ হিসেবে বলা হয়, কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে অসংগতি রয়েছে। এ সম্পর্কে কোম্পানির পক্ষ থেকে যে জবাব দেওয়া হয়েছে, কমিশন তাতে সন্তুষ্ট নয়।
বিএসইসির পক্ষ থেকে গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কোম্পানির ব্যাখ্যা কমিশনের কাছে সন্তোষজনক মনে হওয়ায় স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
চাঁদা গ্রহণের আগের দিন হঠাৎ করে স্থগিতাদেশ আরোপ, আবার এক সপ্তাহ না যেতেই তা প্রত্যাহার হওয়ায় বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মনে এক ধরনের ধোঁয়াশা রয়েছে। কেন আইপিওটি স্থগিত করা হয়েছে, কোম্পানি এখন কী ব্যাখ্যা দিয়েছে যাতে কমিশন সন্তুষ্ট হয়েছে, সেসব বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি।
যোগাযোগ করা হলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক আনোয়ারুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমিশনের পক্ষ থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যেটুকু বলা হয়েছে তার বাইরে আমার কিছু বলার নাই। আমি কিছু জানিও না।’
তবে কোম্পানিটির শেয়ারের ইস্যু ব্যবস্থাপক প্রতিষ্ঠান এএফসি ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহবুব হোসেন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে স্বল্পকালীন ব্যাংক ঋণের কয়েকটি লেনদেন-সংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপনের ধরন নিয়ে কমিশন আপত্তি তুলেছিল। পরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক হিসাবমান অনুযায়ী এ বিষয়ে কমিশনকে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।’
বিএসইসি গত ৯ জুন কোম্পানিটিকে আইপিওর মাধ্যমে তিন কোটি শেয়ার ছেড়ে বাজার থেকে ৬০ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয়। ১০ টাকা ফেসভ্যালু বা অভিহিত মূল্যের সঙ্গে ১০ টাকা প্রিমিয়াম বা অধিমূল্য যোগ করে আইপিওতে প্রতিটি শেয়ারের দাম ঠিক করা হয় ২০ টাকা।
আইডিএলসির বন্ড অনুমোদন: বিএসইসির গতকালের সভায় শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি আইডিএলসি ফিন্যান্সকে ৫০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। পাঁচ বছর মেয়াদি এ বন্ডের নাম ‘ইনফ্রাস্ট্রাকচার অ্যান্ড এসএমই জিরো কুপন বন্ড।’ এটির প্রতিটি ইউনিটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ লাখ টাকা।
শুধু প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী ব্যক্তিদের কাছে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে বন্ডটি বিক্রি করা হবে। এর মাধ্যমে যে অর্থ সংগ্রহ হবে, তা কোম্পানির ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির কাজে ব্যয় করা হবে বলে বিএসইসি জানিয়েছে।