দুই লাখ টন সার আমদানিসহ চারটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন

দুই লাখ টন ইউরিয়া সার আমদানির দুটি আলাদা প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। নির্বাচনকালীন সরকারের সময় এটিই ক্রয় কমিটির প্রথম বৈঠক।
সচিবালয়ে গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়।
নতুন দায়িত্ব পাওয়া শিল্প, গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুসহ বৈঠকে ক্রয় কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, নির্দেশনা রয়েছে নিয়মমাফিক (রুটিন) কাজ চলবে এবং নতুন প্রস্তাব অনুমোদন করা যাবে না। সেটিই হচ্ছে। নতুন তিন সহকর্মীকে তাঁদের প্রথম ক্রয় কমিটির বৈঠকে স্বাগত জানানো হয়েছে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু বিষয় রয়েছে, যেগুলো প্রক্রিয়াধীন এবং যেগুলো নিয়ে অপেক্ষা করা যাবে না। যেমন সার, তেল। এখনকার ক্রয় কমিটির বৈঠকে সে জাতীয় বিষয়ই পাস করা হবে।’
বৈঠকে এ ছাড়া পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ‘সরকারি কেনাকাটা সংস্কার প্রকল্প-২ (পিপিআরপি-২)’ শীর্ষক দ্বিতীয় সংশোধিত কারিগরি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় অনুমোদিত হয়েছে দুটি প্রস্তাব।
নির্বাচনকালীন সরকার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে কোনো প্রকল্প অনুমোদন দিতে পারবে না স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, এর সঙ্গে ক্রয় কমিটির বৈঠকে সার, তেলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রস্তাব অনুমোদনের পার্থক্য রয়েছে।
প্রশ্নোত্তর: কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ চার রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতনকাঠামোর গেজেট প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এটি দিয়ে দেব’। বর্তমান আমলে তা সম্ভব কি না, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই সম্ভব’।
বেতন কমিশন গঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠছে—এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বহু দিন ধরেই এটি নিয়ে কাজ হয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের সবারই দস্তখত আছে।’
নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার নাম শোনা যাচ্ছে—অর্থমন্ত্রীকে এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না। এটা খুবই গোপনীয়। আমরাও যে খুব বেশি জানি তা নয়। ভালো জানবেন সৈয়দ আশরাফ ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষায় সহিংস হরতাল বন্ধ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলে গেলেও অন্তত আগের দিন রাতে এসব সহিংসতা করব না।’
ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিক রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গত মঙ্গলবার সাক্ষাৎ করেছেন। এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন না হলে সংকট হতে পারে বলে তাঁরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। উনাদের ছাড়া অন্যরাও একই ধরনের কথা বলছেন।’