চলতি অর্থবছরে (২০১৬-১৭) কৃষি ও পল্লি খাতে ১৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে। আসছে নতুন কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালায় এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ২৮ জুলাই এ ঋণ নীতিমালা ঘোষণা করা হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নতুন নীতিমালায় এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ঋণ বিতরণকারী ব্যাংকগুলোকে। এ ছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে ঋণের ৩০ শতাংশ অর্থ নিজেদের মাধ্যমে বিতরণের শর্ত বেঁধে দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মাধ্যমে ঋণ বিতরণে সুদের হার বেশি। এ কারণে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে এ শর্ত যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানা গেছে, সদ্যবিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে জুলাই-মে সময়ে ঋণ বিতরণ হয়েছে ১৫ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। পুরো অর্থবছরের হিসাব করা হলে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে চলতি অর্থবছরে ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ ও অগ্রিম লক্ষ্যমাত্রার ২ শতাংশ এবং নতুন ব্যাংকগুলোর ঋণ ও অগ্রিমের ৫ শতাংশ হারে হিসাবায়ন করে মোট কৃষিঋণ বিতরণের এ লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতি অর্থবছরের কৃষি ও পল্লিঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে পেয়ারা চাষে সারা বছর ঋণ দেওয়ার ঘোষণা থাকবে। আগে শুধু নির্দিষ্ট মৌসুমে পেয়ারা চাষে ঋণ দিতে পারত ব্যাংক। এ ছাড়া কৃষিঋণে সুদের হার কমিয়ে ১০ শতাংশ করার ঘোষণাও থাকবে।
সাম্প্রতিক সময়ে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের পরিধি বাড়ায় ব্যাংকগুলোকে এজেন্টদের মাধ্যমে কৃষিঋণ বিতরণের সুযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১২টি বাণিজ্যিক ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে অনুমতি পেয়েছে। তবে ডাচ্-বাংলা ও ব্যাংক এশিয়া নেতৃত্ব দিচ্ছে এ সেবার। এর বাইরে এনআরবি কমার্শিয়াল, আল-আরাফাহ্ ইসলামী, সোস্যাল ইসলামী ও মধুমতী ব্যাংক এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছে। এ ছাড়া ট্রাস্ট, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার, স্ট্যান্ডার্ড, ফার্স্ট সিকিউরিটি, অগ্রণী ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক এ সেবার অনুমোদন নিয়েছে। গত এপ্রিলেই এ সেবার আওতায় ৩৫৮ কোটি টাকার লেনদেন হয় বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য থেকে জানা গেছে।