প্রথম সমঝোতামূলক সিদ্ধান্ত: সিপিডি

ডব্লিউটিওর নবম বাণিজ্যমন্ত্রী সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষকেরা ষ প্রথম আলো
ডব্লিউটিওর নবম বাণিজ্যমন্ত্রী সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষকেরা ষ প্রথম আলো

কয়েক বছর ধরে স্থবির হয়ে যাওয়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বাণিজ্য আলোচনার অগ্রগতি হলো ইন্দোনেশিয়ার বালির মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে। বাণিজ্য সহজীকরণ ও সেবা খাত নিয়ে অগ্রগতি হলেও শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) সদ্য সমাপ্ত ডব্লিউটিওর নবম মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রাপ্তি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার এভাবেই মূল্যায়ন তুলে ধরে।

সিপিডির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন সংস্থার গবেষণা পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। বক্তব্য দেন নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ, অতিরিক্ত পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম প্রমুখ।
সিপিডি বলেছে, আগামী এক বছরে ডব্লিউটিওর আওতায় যেসব বাণিজ্য আলোচনা হবে, সেখানে বাংলাদেশকে প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে সেবা খাতের কোন কোন উপখাতে বাংলাদেশ সুবিধা পেতে পারে, তা চিহ্নিত করতে হবে। অন্যদিকে বাণিজ্য সহজীকরণে স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে (এলডিসি) অবকাঠামো উন্নয়ন ও প্রক্রিয়াগত উন্নয়নে কোনো সময় বেঁধে দেওয়া হয়নি, যা বাণিজ্যে সহায়ক হবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এসব অবকাঠামো তৈরি করতে উন্নত দেশগুলোর কাছে কীভাবে কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা পেতে পারে, সে বিষয়েও কর্মপন্থা ঠিক করতে হবে।

সিপিডি বলেছে, ২০১১ সালে সেবা খাতে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর ছাড় দেওয়ার ঘোষণা থাকলেও এখন পর্যন্ত এর কর্মপদ্ধতি ঠিক হয়নি। আগামী জুলাইয়ে ডব্লিউটিওর বৈঠকে কর্মপদ্ধতি ঠিক করার আলোচনায় মোড-৪-এর আওতায় কোন কোন ধরনের মানবসম্পদ বিদেশে পাঠানো যেতে পারে, তা তুলে ধরতে হবে বাংলাদেশকে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বালিতে সমঝোতা না হলে ডব্লিউটিও নিজেই শঙ্কার মধ্যে পড়ে যেত। গত কয়েক বছরের বাণিজ্য আলোচনায় কার্যত কোনো অগ্রগতি না হলেও এবার একবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো সমঝোতামূলক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, খাদ্যনিরাপত্তার জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো খাদ্যগুদামজাত করে রাখতে পারবে। এতে বাংলাদেশ খুব একটা ক্ষতির মুখে পড়বে না। কেননা, বাংলাদেশ গড়ে চাহিদার ৫ শতাংশের মতো খাদ্য আমদানি করে থাকে। সুতা উৎপাদনে ভর্তুকি উঠিয়ে দেওয়া হলে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক খাতে ব্যয় বাড়তে পারে বলে তিনি মত দেন।