মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীর খাতায় যখন ‘অতি উত্তম’, ‘উত্তম’, ‘ভালো’ বা অগ্রগতি প্রয়োজন লিখছেন, সেটা কেন লিখছেন, তার কারণ ইতিমধ্যে পাঠানো শিক্ষকদের জন্য মূল্যায়ন নির্দেশনা অনুসরণ করে বিস্তারিতভাবে অ্যাসাইনমেন্টের ওপর লিখতে হবে। যেন শিক্ষার্থী তার সবলতা বা দুর্বলতা বুঝতে পারে এবং পরে যখন অ্যাসাইনমেন্টগুলো সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হবে, সে ক্ষেত্রে বিস্তারিত মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ অতিক্রম করবে। শিক্ষার্থীদের মুখস্থনির্ভরতা কমবে, তারা সূক্ষ্ম চিন্তা করতে শিখবে এবং সৃষ্টিশীল হবে। পরীক্ষা দেওয়ার সময় তারা আগের চেয়ে অনেক বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে, পরীক্ষা–ভীতি চলে যাবে এবং পরীক্ষা হয়ে উঠবে শিখনফল অর্জনের অন্যতম মাধ্যম। অর্থাৎ পরীক্ষা দিতে দিতে নিজের অজান্তেই তারা অনেক কিছু শিখে ফেলবে।