জলাবদ্ধতায় চবির প্রাণীবিদ্যার স্থগিত পরীক্ষা মঙ্গলবার

টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মো. মনজুরুল কিবরিয়াসহ অনেক শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় পরীক্ষা হয়নি। আগামীকাল মঙ্গলবার এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

আজ সোমবার টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে সকালে ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়া শিক্ষকদের আনতে যাওয়া বাস নগরে প্রবেশ করতে পারেনি। এতে শিক্ষকেরা সময়মতো ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি। এ ছাড়া নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা ঘর থেকে বের হতে পারেননি। এসব কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়।

অধ্যাপক মো. মনজুরুল কিবরিয়া প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার স্নাতকোত্তরের কীটতত্ত্ব শাখার কৃষি ও বনবিদ্যা বিষয়ে ১৩ শিক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনিসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী জলাবদ্ধতার কারণে ক্যাম্পাসে যেতে পারেননি। এ কারণে স্থগিত করা হয়। স্থগিত পরীক্ষা মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শুরু হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগ ও সংস্কৃতি বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরের প্রশাসক এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, সকাল সাড়ে ছয়টা আর সাড়ে সাতটায় শিক্ষকদের দুটি বাস ক্যাম্পাস থেকে ছাড়া হয়। কিন্তু যানজটের কারণে অক্সিজেন এলাকায় বাস দুটি তিন ঘণ্টার বেশি সময় দাঁড়িয়ে ছিল। এ কারণে পরে আর বাস ছাড়া হয়নি। শিক্ষকেরাও আসতে পারেননি।

এদিকে রোববার রাতে টানা বর্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি পাহাড়ের কিছু অংশ ধসে গেছে। এ কারণে কাটা পাহাড় এলাকায় রোববার রাত ১০টা থেকে আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ ছাড়া রোববার রাত ১০টা থেকে আজ সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি আবাসিক হলে বিদ্যুৎ বন্ধ ছিল। এতে ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের কাটা পাহাড় সড়ক, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পাশে ও সোহরাওয়ার্দী হলের সামনের সড়কে চারটি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী ছৈয়দ জাহাঙ্গীর ফজল প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বৈদ্যুতিক খুঁটি পুনরায় স্থাপনের জন্য সোমবার সারা দিন কাজ করেছেন। রাতের মধ্যেই স্বাভাবিক হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।