নোট-গাইড বন্ধ হলেও থাকছে সহায়ক পুস্তক

বহুল আলোচিত প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়া শিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যায়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে। মূলত আগের খসড়াটিরই খুঁটিনাটি বিষয় পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়। যেখানে নোট-গাইড বই মুদ্রণ, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত নিষিদ্ধ রাখা হচ্ছে। কেউ এই বিধান লঙ্ঘন করলে জেল-জরিমানা ভোগ করতে হবে। তবে সরকারের অনুমোদন নিয়ে সহায়ক পুস্তক, বাঁধাই, প্রকাশ বা বাজারজাত করা যাবে।

আজ বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় খসড়াটি পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়। জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক প্রথম আলোকে বলেন, খসড়াটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে।

তাই এর আগে কিছু বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয় ছিল। সেটি করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই সেটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে যাবে। আজকের সভায় খসড়ায় নতুন কিছু করা হয়নি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে আগেই জানা গিয়েছিল, শিক্ষা আইনের খসড়ায় নিবন্ধন নিয়ে কোচিং চালানোর সুযোগ রাখা হয়েছে। কোচিং সেন্টারের বিষয়ে আইনের খসড়ায় বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট টিউশনের মাধ্যমে পাঠদানের জন্য কোচিং সেন্টার পরিচালনা করা বা কোচিং সেন্টারে শিক্ষকতা করা নিষিদ্ধ গণ্য হবে না। তবে কোচিং সেন্টারে কোনো শিক্ষক তাঁর নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে পাঠদান করাতে পারবেন না। এ ছাড়া কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষক নিজ প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন না।

এ বিষয়ে ৬ জুন এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, কোচিং বন্ধ হবে না। তবে কোচিংকে একটা শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে হবে। কোচিংয়ের অনৈতিক দিকগুলো বন্ধ করা দরকার। প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের খসড়ায় শিক্ষক কাকে, কোথায় পড়াতে পারবেন, সেই বিষয়গুলো বলা হয়েছে।

এই শিক্ষা আইন করা নিয়ে গত প্রায় সাড়ে ১১ বছর ধরে কেবল আলোচনাই চলছে। জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়নের পরপর ২০১১ সালের জানুয়ারিতে শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে ২৪টি উপকমিটি গঠন করেছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যার একটি ছিল শিক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের জন্য। এরপর দীর্ঘ সময়ে আইনের একাধিক খসড়া করা হলেও আইনটি এখন পর্যন্ত করতে পারেনি সরকার।

আরও পড়ুন