পঞ্চম শ্রেণি - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন

প্রশ্ন: নাগরিক কারা? নাগরিকেরা রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে কেন? একজন সুনাগরিকের চারটি গুণাবলি লেখো।

উত্তর: যারা রাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস করে এবং রাষ্ট্রের যাবতীয় দায়িত্ব ও কর্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালন করে ও অধিকার ভোগ করে, তারাই নাগরিক।

নাগরিকেরা রাষ্ট্রের শান্তি ও শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করে।

একজন সুনাগরিকের চারটি গুণাবলি হলো—

১. রাষ্ট্রপ্রদত্ত শিক্ষা লাভ করা।

২. রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকা।

৩. রাষ্ট্রের আইন মেনে চলা।

৪. কর প্রদানে যোগ্য হলে নিয়মিত কর প্রদান করা।

প্রশ্ন: কাদের নিয়ে আমাদের পরিবার? পরিবারে বয়স্কদের সাহায্য করব কেন? বয়স্কদের প্রতি সম্মান দেখানোর চারটি উপায় লেখো।

উত্তর: মা-বাবা, ভাই-বোন, দাদা-দাদি এবং চাচা-ফুফুদের নিয়ে আমাদের পরিবার। পরিবারে বয়স্করা নিজেদের কাজ নিজেরা করতে পারে না বলে আমরা তাঁদের সাহায্য করব।

বয়স্কদের প্রতি সম্মান দেখানোর চারটি উপায় হলো—

১. বয়স্কদের সম্মানের সাথে সালাম দেওয়া এবং কুশল বিনিময় করা।

২. সব সময় বয়স্কদের আদেশ-নিষেধ মেনে চলা।

৩. বয়স্কদের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও কাজকে শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখা।

৪. বয়স্কদের সঙ্গে এমন কোনো ব্যবহার করব না, যাতে তাঁরা মনে দুঃখ পান।

প্রশ্ন: সমাজ কী? সমাজের প্রয়োজন কেন? সমাজের প্রতি আমাদের চারটি কর্তব্য উল্লেখ করো।

উত্তর: আমাদের চারপাশের পরিবেশ, মানুষ ও তাদের কাজ নিয়েই আমাদের সমাজ।

মানুষ একা বাঁচতে পারে না। সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার জন্য সমাজ প্রয়োজন।

১. সমাজের নিয়মকানুন মেনে চলা।

২. সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের সহযোগিতা করা।

৩. কারও কোনো ক্ষতি না করা।

৪. বয়স্কদের সাহায্য করা।

প্রশ্ন: সড়ক দুর্ঘটনা কী? সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে কেন? সড়ক দুর্ঘটনার চারটি ক্ষতিকর দিক লেখো।

উত্তর: রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের অসাবধানতার জন্য যে দুর্ঘটনা ঘটে, তাকে সড়ক দুর্ঘটনা বলে।

সাধারণত অসচেতনতার কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে।

সড়ক দুর্ঘটনার চারটি ক্ষতিকর দিক হলো—

১. অনেক মানুষ প্রাণ হারায়।

২. অনেক মানুষ বিকলাঙ্গ হয়ে যায়।

৩. অর্থ ও সম্পদের ক্ষতি হয়।

৪. অনেক পরিবার অভিভাবক হারিয়ে আর্থিক অনটনের সম্মুখীন হয়।

প্রশ্ন: সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখতে আমাদের কী করা উচিত? আমরা ছোটদের কী করব? সমাজের প্রতি চারটি দায়িত্ব উল্লেখ করো ।

উত্তর: সমাজকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল রাখতে আমাদের বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করা উচিত।

আমরা ছোটদের ভালোবাসব ও দেখাশোনা করব।

সমাজের প্রতি চারটি দায়িত্ব হলো—

১. সমাজের বিভিন্ন নিয়মকানুন মেনে চলা।

২. সুবিধাবঞ্চিতদের সহযোগিতা করা।

৩. সমাজের বিভিন্ন ধরনের সম্পদ, যেমন পার্ক, খেলার মাঠ ইত্যাদি সংরক্ষণ করা।

৪. সমাজের উন্নয়নে কাজ করা, কারও যাতে কোনো ক্ষতি না হয়, সেদিকে বিশেষ লক্ষ রাখা।

প্রশ্ন: বেগম রোকেয়া কখন জন্মগ্রহণ করেন? তিনি কত সালে ভাগলপুরে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন? নারী সম্পর্কে বেগম রোকেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: বেগম রোকেয়া ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

বেগম রোকেয়া ভাগলপুরে বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন ১৯০৯ সালে।

নারী সম্পর্কে বেগম রেকেয়ার দৃষ্টিভঙ্গি চারটি বাক্যে লেখা হলো—

১. বেগম রোকেয়া মনে করতেন, নারী-পুরুষ সমান অংশগ্রহণ এবং সমান অধিকার

ভোগ করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়।

২. তিনি নারীশিক্ষার অগ্রগতির প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন।

৩. বেগম রোকেয়া মনে করতেন, নারী জাতিকে অন্ধকারে রেখে সমাজের সামগ্রিক উন্নতি সম্ভব নয়।

৪. তিনি মনে করতেন, নারী-পুরুষের মধ্যে বিভাজন নয় বরং সহযোগিতা প্রয়োজন।

রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা

এই বিষয়ের প্রকাশিত পূর্বের কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন | পরবর্তী কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন