পঞ্চম শ্রেণি - বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় | কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন

কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন

প্রশ্ন: মানবাধিকার কাকে বলে? মানবাধিকার সর্বজনীন ঘোষণাপত্র কে অনুমোদন দিয়েছে? মানবাধিকারের চারটি প্রয়োজনীয়তা লেখো।

উত্তর: মানুষের সব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার অধিকারকে মানবাধিকার বলে। জাতিসংঘ মানবাধিকার সর্বজনীন ঘোষণাপত্রকে অনুমোদন দিয়েছে। মানবাধিকারের চারটি প্রয়োজনীয়তা হলো—

১. মানবাধিকার মানুষের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

২. লেখাপড়া শিখে যোগ্যতা ও মর্যাদার সঙ্গে বসবাসের সুযোগ করে দেয়।

৩. মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত করতে সাহায্য করে।

৪. সুনাগরিক হিসেবে গড়তে সাহায্য করে।

প্রশ্ন: অটিজম কোন ধরনের সমস্যা? অটিস্টিক শিশুদের আমরা বিশেষ যত্ন নেব কেন? অটিস্টিক শিশুরা খেলনা নিয়ে কী করে। চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: অটিজম মানসিক বিকাশগত সমস্যা।

অটিস্টিক শিশুদের বিশেষ যত্ন নিলে তারাও সমানভাবে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পাবে।

অটিস্টিক শিশুরা খেলনা নিয়ে যা করে, তার চারটি করণীয় হলো—

১. অটিস্টিক শিশুরা খেলনা নিয়ে খেলে না।

২. তারা এগুলোকে শক্ত করে ধরে বসে থাকে।

৩. খেলনাগুলোর গন্ধ নেয় বা ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে।

৪. কোনো একটি বিশেষ জিনিসের প্রতি আকর্ষণ থাকে এবং সেটি সব সময় সঙ্গে সঙ্গে রাখে।

প্রশ্ন: অটিস্টিক শিশুরা কোন সমস্যায় আক্রান্ত হয়? অটিস্টিক শিশুদের কীভাবে কাজ করতে অসুবিধা হয়? অটিস্টিক শিশুদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করা উচিত? চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: অটিস্টিক শিশুরা অটিজম সমস্যায় আক্রান্ত হয়।

অটিস্টিক শিশুদের দলে সবাই একত্রে কাজ করতে অসুবিধা হয়।

অটিস্টিক শিশুদের সঙ্গে যেমন ব্যবহার করা উচিত, তা হলো—

১. অটিস্টিক শিশুদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা উচিত।

২. তাদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হবে।

৩. তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা যাবে না, যাতে তারা কষ্ট পায় এবং উত্তেজিত হয়।

৪. কিছু অটিস্টিক শিশু অনেক মেধাবী হয়। তারা ভালো ছবি আঁকতে পারে, গান গাইতে পারে। সবার উচিত তাদের এসব কাজে উৎসাহ প্রদান করা।

প্রশ্ন: ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ কবে পালন করা হয়? দিবসটি পালন করা হয় কেন? আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: প্রতিবছর ৮ মার্চ ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়।

নারী অধিকার নিশ্চিত করাসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এ দিবস পালন করা হয়।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের তাৎপর্য চারটি হলো—

১. পুরুষের সমান মজুরি এবং দৈনিক আট ঘণ্টা শ্রমের দাবি প্রতিষ্ঠা করা।

২. নারীর অধিকার নিশ্চিত করাসহ নানা বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করা।

৩. নারী-পুরুষ সমতার অনগ্রসরতাকে চ্যালেঞ্জ করে ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসা।

৪. জীবনের সবখানে নারীর ক্ষমতার দাবি প্রতিষ্ঠিত করতে বিশ্বব্যাপী উৎসাহমূলক পরিবর্তন আনা।

রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা

এই অধ্যায়ের প্রকাশিত পূর্বের কাঠামোবদ্ধ প্রশ্ন