নগদের মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণ সুনিশ্চিত হবে এবং সরকারের খরচ এক-তৃতীয়াংশে নেমে আসবে। সরকারের কাছ থেকে উপবৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা পাওয়ার পরপরই নগদ উপবৃত্তি ও ভাতা বিতরণের কাজ শুরু করবে। উপবৃত্তি ও শিক্ষা উপকরণ ভাতাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মায়েদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি চলে যাবে।

কয়েক বছর আগে সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি চালু করে। তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি বিতরণের জন্য ক্যাশআউট চার্জ ও ডেটা ম্যানেজমেন্টের জন্য সরকারকে সব মিলিয়ে প্রতি হাজারে সাড়ে ২১ টাকা খরচ করতে হচ্ছিল। আর রাষ্ট্রীয় সেবা নগদের মাধ্যমে বৃহৎসংখ্যক শিক্ষার্থীর মধ্যে ভাতা ও উপবৃত্তি বিতরণে সরকারের প্রতি হাজারে মাত্র সাত টাকা খরচ হবে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের বৃত্তির অর্থ প্রাপ্তির সঙ্গে ক্যাশআউট চার্জের সমপরিমাণ অর্থ তার নগদ অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবে।

এই চুক্তি বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘নগদ দেশের কনিষ্ঠ ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এটি সবচেয়ে প্রিয় সার্ভিস। আমরা বিশ্বাস করি, নগদের মাধ্যমে জরাজীর্ণ ডাক বিভাগ একদিন ঘুরে দাঁড়াবে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীর মায়ের অ্যাকাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তি এবং শিক্ষা উপকরণ কেনার টাকা পাঠানো হবে। যার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নও হবে। আমাদের বিশ্বাস প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মানুষ ডাক বিভাগে ফিরতে শুরু করবে।’