পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা : প্রাথমিক বিজ্ঞানের প্রশ্নোত্তর
অধ্যায় ২
বর্ণনামূলক প্রশ্ন
প্রশ্ন: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে কেন পরিবেশ দূষিত হয়?
উত্তর: জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে বাড়তি জনসংখ্যার জন্য বাসস্থান ও রাস্তাঘাট নির্মাণ করতে হয়। এতে গাছপালা ও বনাঞ্চল ধ্বংস হয়ে থাকে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়। অধিক মাত্রায় খাদ্যশস্য ও ফসল ফলানোর জন্য জমিতে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার করা হয়, এতে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয় এবং জলাশয়ের পানি দূষিত হয়। বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য অতিরিক্ত যানবাহনের বিষাক্ত ধোয়া বায়ুমণ্ডল দূষিত করে, এ কারণে জীববৈচিত্র্য হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে, খাদ্যশৃঙ্খলে ব্যাঘাত ঘটছে। এভাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির ফলে পরিবেশ প্রতিনিয়ত দুষিত হচ্ছে
প্রশ্ন: মাটি ও পানি দূষণের সাদৃশ্য কোথায়?
উত্তর: মাটি ও পানিদূষণের সাদৃশ্য হচ্ছে উভয়ই ক্ষতিকর পদার্থ মিশ্রিত হয়ে দূষিত হয়। কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার ও কীটনাশক, গৃহস্থালি ও হাসপাতালের বর্জ্য, কারখানার বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ, তেল ইত্যাদির মাধ্যমে মাটি দূষিত হয়, মাটিদূষণের ফলে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়।
অপরদিকে পয়োনিষ্কাশন ও গৃহস্থালির বর্জ্য অথবা কলকারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থের মাধ্যমে পানি দূষিত হয়। ময়লা আবর্জনা মৃত জীবজন্তু পানিতে ফেলা, কাপড় ধোয়া, গোসল করা ইত্যাদির ফলেও পানি দূষিত হয়। পানি দূষণের ফলে মানুষ কলেরা, ডায়রিয়া, আমাশায়, টাইফয়েড ইত্যাদি পানিবাহিত রোগ ও বিভিন্ন চর্মরোগে আক্রান্ত হয়।
প্রশ্ন: শব্দ দূষণের রোধে তুমি কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পার সংক্ষেপে েলখো।
উত্তর: শব্দদুষণ রোধে আমি নিচের পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে পাির—
১. বিনা কারণে সোরগোল করব না।
২. প্রয়োজন না হলে মাইক ব্যবহার করব না।
৩. উচ্চ স্বরে কথা বলব না বা চিত্কার করব না।
৪. বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজাব না।
৫. জেনারেটরের আওয়াজ নিয়ন্ত্রণে রাখব।
৬. অন্যরা যাতে এসব নিয়মকানুন মেনে চলে, তার জন্য সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করব।
প্রশ্ন: পরিবেশে পানিদূষণের প্রভাবে কী কী ঘটতে পারে লেখো।
উত্তর: পানিদূষণের প্রভাবে পরিবেশে যা ঘটতে পারে—
১. পানিদূষণের ফলে পানিবাহিত রোগ যেমন– জন্ডিস, ডায়রিয়া কলেরা, টাইফয়েড ইত্যাদি হতে পারে।
২. মৎস্য সম্পদ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
৩. চর্ম রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
৪. জলজ প্রাণী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
৫. পরিবেশে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে।
প্রশ্ন: তোমার এলাকার পরিবেশ দূষণ রোধে তোমার বন্ধুদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করার দুটি উপায় লেখো।
উত্তর: পরিবেশদূষণ রোধে বন্ধুদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উপায়—
১. বন্ধুরা যাতে বিনা কারণে সোরগোল না করে এবং উচ্চস্বরে গান না শোনে, সে মনোভাব তাদের মধ্যে জাগ্রত করব।
২. বন্ধুরা যাতে যেখানে-সেখানে কফ–থুতু না ফেলে, মলমূত্র ত্যাগ না করে সে ব্যাপারে সচেতন করব।
প্রশ্ন: আমরা কীভাবে শব্দদূষণ রোধ করতে পারি?
উত্তর: শব্দদূষণ রোধে আমাদের করণীয়—
১. উচ্চস্বরে গান বাজানো যাবে না
২. বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন না বাজানো
৩. মাইক বা লাউডস্পিকার না বাজানো
৪. হাসপাতাল বা বিদ্যালয়ের পাশে উচ্চশব্দে কোনো কিছু না বাজানো।
৫. জেনারেটরের শব্দ নিয়ন্ত্রণ করা।