: রহিয়াছ?
: আছি বৈকি!
: কুশলাদি জানাইলে প্রীত হইতাম।
: ললাটে ফোঁড়ন উঠিয়াছে, বাকি সব গতকল্য মোতাবেক সঠিক রহিয়াছে।
: বৈকালে একবার দেখা করিবার সাধ জাগিয়াছে, দেখা হইবে কি?
: কী হেতু? কহো বিস্তারিয়া।
: দেখিবার সাধ জাগিলে তাহার হেতুর বিচ্ছুরণ করিবার মনোবাসনা হয় না। সখি, পরাণের দাগ মুছিয়া ফেলিতে তোমারে স্মরিছি, ফিরাইয়ো না খালি হাতে।
: বৈকালে পিতার ধবল চুলে মেহেন্দি লাগাইবার সিদ্ধান্ত হইয়াছে। তুমি নিশ্চয়ই পিতার সিদ্ধান্তকে উষ্ঠা মারিয়া তোমার সহিত দেখা করিতে বলিবে না?
: সখি, পিতার ধবল চুল মেহেন্দিতে যখন লোহিত বরণ ধারণ করিবে, তখন এই যুবকের প্রজ্বলিত হৃদয় তমশায় ডুবিয়া যাইবে। যুবকের হৃদয় ভাঙিবার সাধ জাগিলে তোমারে বলপ্রয়োগপূর্বক দেখা করিবার প্রয়াস চালাইব না।
: আব্বাজানের চুল যখন মেহেন্দিতে লোহিত বরণ ধারণ করিবে, তখন এই যুবতীর মনটা বৈকালিক ভ্রমণে যুবকের সহিত ঘোরাফেরা করিবে। তোমারে ভাবিয়া ভাবিয়া পূর্ণ বৈকাল ম্লান হইবে বুঝিতেছি।
: ত্বদীয় ভাব বুঝিতে পারিয়াছি। একখানা বুদ্ধি আসিয়াছে, পিতাকে বলিবে, মাস্টারমশাই ডাকিয়াছে। বৈকালে তাহার নিকট গণিত ধাতস্থ করিবে।
: সে আশার গুড়ে বালি। মাস্টারমশাই বৈকালে পিতার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিবেন।
: কোনো কিছু বুঝিতে চাহি না, তোমাকে আসিতে হইবে!
: পাগলের প্রলাপ বকিবে না, মেগাবাইট ফুরাইয়া আসিতেছে। উহা ব্যতীত অন্য কোনো গল্প ফাঁদিতে পারো কি না, দেখো।
: সখি, মেগাবাইট ফুরাইয়া গেলেই কি দেখা করিবার ইচ্ছা চলিয়া যাইবে?
: আহা! তুমি বুঝিতে পারিতেছ না, আমি অপারগ হইয়া পড়িয়াছি।
: আমি কিছু দেখিতে পারিতেছি না। বৈকালে সুরভি উদ্যানে বসিয়া থাকিব। তুমি না আসিলে অন্য কোনো বালিকার মুখপানে চাহিয়া থাকিব।
: কী?
: অচেনা বালিকাকে দেখিয়া স্মিত হাসিব...
: বুঝিয়াছি, আমাকে আসিতে হইবে। আমি আসিব। ঝাঁটাসমেত আসিব।