বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়

যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন
প্রিয় শিক্ষার্থী, কাঠামো অনুসারে আজ রয়েছে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ৪ নম্বর প্রশ্নের যোগ্যতাভিত্তিক কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নোত্তর।

মনে রেখো, কাঠামোবদ্ধ প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে প্রশ্ন যতটুকু চাইবে ঠিক ততটুকুই লিখবে। এর বেশি লিখলে নম্বর বেশি পাওয়া যাবে না। বরং সময়ের অপচয় হবে। আবার কম লিখলেও নম্বর কমে যাবে। তাই প্রশ্নের নির্দেশনা অনুসারে অবশ্যই যথাযথ উত্তর লিখবে।

প্রশ্ন: ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে রাজনীতিবিদ ও সাহিত্যিকদের ভূমিকা উল্লেখ করো।
উত্তর: ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব ও সাহিত্যিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁদের ভূমিকার কারণেই ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়। এছাড়া সংগঠিত হয় স্বরাজ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন ও সশস্ত্র যুব বিদ্রোহ। এ সময়ের উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক নেতারা হলেন নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ, শের-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক প্রমুখ। তাঁদের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলেই একসময় ইংরেজরা এদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। অন্যদিকে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি কাজী নজরুল ইসলাম প্রমুখ সাহিত্যিকগণ শক্তিশালী লেখনী দ্বারা এ দেশবাসীর স্বাধীনতার চেতনাকে আরও জাগিয়ে তোলেন।
অধ্যায়-৩
প্রশ্ন: তোমার নিজের ভাষায় লালবাগ দুর্গের পাঁচটি স্থাপনার বর্ণনা দাও।
উত্তর: লালবাগ দুর্গের ভেতরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি স্থাপনার বর্ণনা দেওয়া হলো: লালবাগ দূর্গে ‘দিওয়ান-ই-আম’ নামক একটি দরবার হল আছে। দুর্গের ভেতর তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি মসজিদ ও একটি পুকুর রয়েছে। শায়েস্তা খানের কন্যা পরী বিবির মাজার আছে। দুর্গের মাঝখানে একটি দোতলা ছোট্ট সুরম্য প্রাসাদ জাদুঘর হিসেবে ব্যবহূত হয়। দুর্গের চারপাশে বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উঁচু ইটের প্রাচীর দেওয়া হয়েছিল।
প্রশ্ন: লালবাগ দুর্গের পাঁচটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর: লালবাগ দুর্গের বিশেষ পাঁচটি বৈশিষ্ট্য হলো: এটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি। এ দুর্গটির মাঝখানে খোলা জায়গায় সুন্দর তাঁবুতে মুঘল শাসকগণ বাস করতেন। দূর্গের মাঝখানে একটি দোতলা ছোট্ট সুরম্য প্রাসাদ ছিল। বর্তমানে সেখানে একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের কারণে আজও লালবাগের কেল্লা আপন মহিমায় উজ্জ্বল।
প্রশ্ন: সোনারগাঁ সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লেখো।
উত্তর: ঢাকা শহর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে মেঘনা নদীর পশ্চিম তীরে সোনারগাঁ অবস্থিত। বর্তমানে সোনারগাঁ নারায়ণগঞ্জ জেলার অন্তর্গত। সোনারগাঁয়ের নির্দশনগুলোর মধ্যে বিরাট আকারের দীঘি, মাটির স্তূপ, ধ্বংসপ্রাপ্ত কেল্লা, মসজিদ এবং পানাম নগরের ধ্বংসাবশেষ বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এখানে সুলতান গিয়াস উদ্দিন আযম শাহের ও পাঁচ পীরের মাজার রয়েছে। মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের আমলে ঢাকা রাজধানী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেলে সোনারগাঁয়ের গুরুত্ব ধীরে ধীরে লোপ পায়।

বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল

শিক্ষক, প্রগতি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা