অধ্যায় ১১
প্রশ্ন: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কয়েকটি ভাষার নাম লেখো।
উত্তর: বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ভাষার নাম:
গারো—আচিক, খাসি—মনখেমে, ত্রিপুরা—ককবরক ও উমোই, ওঁরাও—কুডুখ ও সাদ্রি।
প্রশ্ন: গারো জনগোষ্ঠী কত বছর পূর্বে কোথা থেকে এসে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করে?
উত্তর: গারো জনগোষ্ঠী প্রায় ৪০০০ বছর পূর্বে তিব্বত থেকে এসে বাংলাদেদেশের বিভিন্ন স্থানে বসবাস শুরু করে।
প্রশ্ন: গারোদের আদি ধর্মের নাম কী?
উত্তর: গারোদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক।
প্রশ্ন: গারোদের মাতৃতান্ত্রিক সমাজে কারা পরিবারের প্রধান ও সম্পত্তির অধিকারী হয়?
উত্তর: গারোদের সমাজে নারীরাই পরিবারের প্রধান ও সম্পত্তির অধিকারী হয়।
প্রশ্ন: কাদের সূত্র ধরে গারোদের দল, গোত্র ও বংশ গড়ে ওঠে?
উত্তর: মায়েদের সূত্র ধরে গারোদের দল, গোত্র ও বংশ গড়ে ওঠে।
প্রশ্ন: গারোদের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার কী?
উত্তর: গারোদের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবার বাঁশের কোড়ল দিয়ে তৈরি হয়।
প্রশ্ন: নকমান্দি বলতে কী বোঝায়?
উত্তর: গারো জনগোষ্ঠীর লোকেরা নদীর তীরে লম্বা একধরনের বাড়ি তৈরি করতেন, যা নকমান্দি নামে পরিচিত।
প্রশ্ন: গারোরা কী ধরনের পোশাক পরিধান করে থাকে?
উত্তর: গারো নারীদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকের নাম দকবান্দা বা দকসারি। পুরুষেরা শার্ট, লুঙ্গি, ধুতি ইত্যাদি পরিধান করে থাকে।
প্রশ্ন: ১৮৭২ সালে গারো জনগোষ্ঠী কাদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল?
উত্তর: ১৮৭২ সালে গারো জনগোষ্ঠী ইংরেজদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিল।
প্রশ্ন: তখনকার দুজন গারো বীর যোদ্ধার নাম লেখো।
উত্তর: সে সময়কার দুজন গারো বীর যোদ্ধা টগান নেংমিনজা ও সোনারাম সাংমা।
প্রশ্ন: ওয়াংগালা কী?
উত্তর: গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম ওয়াংগালা। এই উৎসবের সময়ে তাঁরা সূর্য দেবতা সালজং-এর প্রতি নতুন শস্য উৎসর্গ করে। সাধারণত নতুন শস্য ওঠার সময় অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে উৎসবটি হয়।
বাকি অংশ ছাপা হবে আগামীকাল