অধ্যায় ১১
প্রশ্ন: ‘বিজু’ কাদের নববর্ষের উৎসব এবং এ উৎসবে কী কী হয়?
উত্তর: ‘বিজু’ ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নববর্ষের উৎসব। এ সময় ত্রিপুরা নারীরা মাথায় ফুল দিয়ে সুন্দর করে সাজেন। গ্রামে গ্রামে ঘুরে বেড়ান ও আনন্দ করেন।
প্রশ্ন: ওঁরাওদের সমাজব্যবস্থা কেমন?
উত্তর: ওঁরাও সমাজব্যবস্থা পিতৃতান্ত্রিক। ওঁরাওদের গ্রামপ্রধানকে মাহাতো বলা হয়। তাদের নিজস্ব আঞ্চলিক পরিষদ আছে, যা পানহো নামে পরিচিত।
প্রশ্ন: গারোদের আদি ধর্মের নাম কী? বর্তমানে তারা কোন ধর্মের অনুসারী? গারোদের বাসস্থান সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।
উত্তর: গারোদের আদি ধর্মের নাম সাংসারেক।
বর্তমানে বেশির ভাগ গারো খ্রিষ্টধর্মের
অনুসারী। গারোদের বাসস্থান সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো—
১. অতীতে গারোরা নদীর তীরে তাদের বাড়িগুলো নির্মাণ করত।
২. এ বাড়িগুলো সাধারণত দুচালাবিশিষ্ট দীর্ঘ আকারের হতো।
৩. এ ধরনের বাড়ির নাম ছিল ‘নকমান্দি’।
৪. বর্তমানে তারা অন্যদের মতোই করোগেটেড টিন এবং অন্যান্য উপকরণ দিয়ে বাড়ি তৈরি করেন।
প্রশ্ন: গারোদের ভাষার নাম কী? তাদের সমাজব্যবস্থা কেমন? গারোদের সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।
উত্তর: গারোদের ভাষার নাম আচিক বা গারো ভাষা।
গারোদের সমাজব্যবস্থা মাতৃতান্ত্রিক। তাদের সমাজের মা হলেন পরিবারের প্রধান।
গারোদের সমাজব্যবস্থা সম্পর্কিত চারটি বাক্য হলো—
১. গারো মেয়েরা পারিবারিক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী।
২. মায়ের সূত্র ধরেই তাদের দল, গোত্র ও বংশ গড়ে ওঠে।
৩. বাবা পরিবারের দেখাশোনা করেন।
৪. বিয়ে, উত্তরাধিকার, সম্পত্তির ভোগ-দখল ইত্যাদি মাতৃগোত্রের পরিচয় হয়।
প্রশ্ন: খাসিদের প্রধান দেবতার নাম কী? তারা এই দেবতাকে কী মনে করে? খাসিদের চারটি উৎসবের নাম লেখো।
উত্তর: খাসিদের প্রধান দেবতার নাম উব্লাই নাংথউ।
তারা এই দেবতাকে পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা মনে করেন।
খাসিদের চারটি উৎসব হলো—
১. পূজাপার্বণ
২. বিয়ে উৎসব
৩. অতিবৃষ্টির হাত থেকে বাঁচার অনুষ্ঠান এবং
৪. ফসলহানি থেকে বাঁচার অনুষ্ঠান।
প্রশ্ন: ওয়াংগালা কী?
উত্তর: গারোদের ঐতিহ্যবাহী উৎসবের নাম ওয়াংগালা। এই উৎসবের সময়ে তারা সূর্য দেবতা সালজং-এর প্রতি নতুন শস্য উৎসর্গ করে। সাধারণত নতুন শস্য ওঠার সময় অক্টোবর বা নভেম্বর মাসে উৎসবটি হয়।
প্রশ্ন: ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর সমাজব্যবস্থা কেমন?
উত্তর: বাংলাদেশে বসবাসকারী ত্রিপুরারা পিতৃতান্ত্রিক সমাজের অধিকারী। তবে সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে ছেলেরা বাবার সম্পত্তি ও মেয়েরা মায়ের সম্পত্তি লাভ করে থাকেন।
প্রশ্ন: ম্রো জনগোষ্ঠীর ভাষার নাম কী? ইউনেসকো এ ভাষাকে ঝুঁকিপূর্ণ ভাষা বলেছেন কেন? ম্রোদের ধর্ম সর্ম্পকে চারটি বাক্য লেখো।
উত্তর: ম্রো জনগোষ্ঠীর ভাষার নাম ম্রো ভাষা।
ম্রো ভাষার কোনো লিখিত রূপ না থাকার জন্য ইউনেসকো ম্রো ভাষাকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে।
ম্রোদের ধর্ম সম্পর্কে চারটি বাক্য হলো—
১. ম্রো জনগোষ্ঠীর ধর্মের নাম তোরাই।
২. ক্রামা নামে আরেকটি ধর্মমত আছে।
৩. ম্রোরা সাধারণত বৌদ্ধধর্মাবলম্বী।
৪. তাদের কেউ কেউ খ্রিষ্টধর্মও গ্রহণ করেছেন।